• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩, ১:১৩ পূর্বাহ্ন / ১১০
তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুমিল্লাঃ শুক্রবার বরুড়া উপজেলার ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের কাকৈরতালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার একবাড়ীয়া – ভাউসার সড়কের কাকৈরতালা গ্রামের সিমা কামালের বাড়ির সামনে ৩টি সরকারি গাছ কাটাতে দেখে ওই সাংবাদিক বিষয়টি জানতে চায়। এ সময় এক যুবক বলেন, স্থানীয় ইউনিয়নের মহিলা সদস্য আয়েশার কথায় আমরা গাছগুলো কেটেছি।

এ সময় ওই সাংবাদিক আয়েশা মেম্বারকে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, আপনি থাকেন আমি আসতেছি, এসে আপনার সাথে সরাসরি কথা বলবো।

এ সময় বন বিভাগের অনুমতি পত্র ও বরুড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত গাছ কাটার অনুমতির পত্র নিয়ে আসেন এক যুবক। এতে দেখা যায় সিমা কামাল নামের এক মহিলা তিনটি গাছ ২৫ হাজার ৬৮০ টাকায় ক্রয় করেন। গাছ কাটার অনুমতি পত্র দেখে ওই সাংবাদিক চলে আসার সময় আয়েশা মেম্বার তাকে চায়ের আমন্ত্রণ করেন।

এ সময় কাকৈরতলা গ্রামের ৫-৬ জন পুরুষ সহ ওই সাংবাদিককে সিমা কামালের বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসায়।
বসার সাথে সাথেই আয়েশা মেম্বার ওই সাংবাদিকের কাছে থাকা মুঠো ফোনটি চিনিয়ে নেয় এবং তার গলায় জুলিয়ে রাখা কাঁধের ব্যাগ খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যাগ নিয়ে টানা টানির সময় আয়েশা মেম্বারের ইঙ্গিতে পাশে থাকা অন্য মহিলা একটা ছবি তোলেন। তখন আয়েশা মেম্বার বলেন আপনি আমরা বোরকা ও ওড়না ধরে টান দিয়েছেন কেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মহিবুল্লাহ ভূঁইয়ার বাবুলের ছেলে বলেন আন্টি আপনি মিথ্যা কথা বলেন কেন, আব্বু তো আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি, আপনি এরকম করছেন কেন। এ কথা বলে ওই সাংবাদিক ও তার সাথে থাকা ছেলেকে ড্রয়িং রুমে রেখে বাহির থেকে দরজ লক করে দেন।

পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে কাকৈর তলা গ্রামের সুজন মজুমদার নামের এক সাংবাদিক এসে, মহিবুল্লাহ্ সাংবাদিকের মুঠো ফোন সহ তাদেরকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ওই সাংবাদিক বরুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার এস ডি আর নাম্বার- ১৯৯/২৩