• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরের জহিরাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাউল বিক্রি করে পরিবহন খরচ মিটানোর অভিযোগ


প্রকাশের সময় : মে ১২, ২০২২, ১০:২২ অপরাহ্ন / ৬৮১
চাঁদপুরের জহিরাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাউল বিক্রি করে পরিবহন খরচ মিটানোর অভিযোগ

মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলেদের চাউল বিক্রি করে পরিবহন খরচ মিটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাউলগুলো নেওয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম সহ জনতা হাতে নাতে আটক করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সোনারপাড়া গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী রশিদ খানের কাছে ২০ বস্তা (১ মে.টন) চাউল বিক্রি করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ।

জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে সরকার নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাউল প্রদান করেন। জহিরাবাদ ইউনিয়নে নিবন্ধন জেলে রয়েছেন ৮৪১ জন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ৭৬৬ জন জেলের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চাউল ব্যবসায়ী রশিদ খান যখন ইজি বাইকে (গাজী এন্টারপ্রাইজ, প্রোঃ মোঃ সাব্বির হোসেন গাজী, মোবাইল: ০১৮৪৩৫৪৯৭৬৪) করে সরকারি চাউল নিয়ে আসছিল, তখন আমার সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞেস করি। জিজ্ঞেস করলে রশিদ খান বলে আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল কিনে আনছি। পরে আমি বলছি সরকারি চাউল কেনা বেচা করা নিষিদ্ধ। এই কথা বললে রশিদ খান জনতার তোপের মুখে পড়ে মাফ চেয়ে চাউল নিয়ে তার দোকানে চলে যান।
স্থানীয় দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন সহ একাধিক লোকজন বলেন, রশিদ খান চাউল নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা আটক করেছে। পরে সবার কাছে মাফ চেয়ে চাউল চলে গেছে। আমরা তাকে ইজি বাইকে করে চাউল নিয়ে যেতে দেখেছি।
জহিরাবাদ ইউপি সদস্য কাজল বলেন, চাউল আনতে গেলে পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ নানান খরচ আছে। ওই খরচ উঠাতে আমরা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ চাউল বিক্রি করেছি।
সরকারি চাউল ক্রেতা রশিদ খান বলেন, আমি টাকা দিয়ে চাউল কিনেছি। সরকারি চাউল নাকি ব্যক্তিগত চাউল তা জানি না।
এ ব্যাপারে জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম গাজী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চালাতে অনেক খরচ আছে। ওইসব খরচ আমি ব্যক্তিগত ভাবে বহন করি। কিন্তু চাউল আনার ব্যাপারে পরিবহন খরচ মিটাতে সকল মেম্বারদের মতামত অনুযায়ী চাউল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ট্যাগ অফিসার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল থেকে ওখানে ছিলাম। প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে ইউএনও মহোদয়ের সাথে মিটিং থাকায় চলে আসছি। তবে চেয়ারম্যান ও সকল মেম্বারদেরকে দায়িত্ব দিয়ে আসছিলাম। চাউল বিক্রির ঘটনাটি আমি পরে শুনে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা পেলে আগামী কর্মদিবসে চেয়ারম্যানের কাছে জবাব চাইবো। সরকারি চাউল বিক্রি একটি দুঃখজনক ঘটনা বলেও মনে করেন তিনি।