• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্হ্য সেবার আড়ালে জমজমাট মাদক ব্যবসা : ডিবি পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার : আটক দুই কর্মকর্তা 


প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০২৩, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন / ৩৩৬
গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্হ্য সেবার আড়ালে জমজমাট মাদক ব্যবসা : ডিবি পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার : আটক দুই কর্মকর্তা 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ২৯ মে রাতে ডিবি পুলিশের একটি চিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে দারুসসালাম থানার মাজার রোড়ে গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের ষ্টোর রুম থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করেন এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার দায়ে হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা রোকন ও নজরুলকে আটক করে ডিবি’র কার্যালয় মিন্টু রোডে নিয়ে যায় ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে , দারুসসালা থানার ২৮২/১ আলমাস টাওয়ার প্রথম কলোনীর মাজার রোডে অবস্হিত গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্হ্য সেবার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মদ ও ফেনসিডিল ব্যবসা এবং মাদক সেবন পরিচালনা করছেন হাসপাতালের পরিচালক আশফাক ইভান, ব্যবস্থাপক মওদুদ আহমেদ, সহকারী ব্যবস্থাপক রোকন, সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুল এবং তাদের দালাল পলাশ ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ মে রাত আনুমানিক ৯টা থেকে গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মাদপুর জোনাল টিম বিশেষ অভিযান চালায় এবং হাসপতালের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত ষ্টোর রুম থেকে কার্টুন ভর্তি শত শত পিস ফেনসিডিল উদ্ধার করে এবং সহকারী ব্যবস্থাপক রোকন ও সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরল কে আটক করে হাসপাতালের ষ্টাফদের সামনে প্রকাশ্যে নিয়ে যায়। রোকন মালিক পক্ষের আত্মীয় হওয়ায় ৩০ মে দুপুরে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মওদুদ আহমেদ ও ষ্টাফ শামীম ডিবি কার্যালয় থেকে এক অদৃশ্য কালো হাতের ইশারায় রোকনকে ছাডিয়ে নিয়ে আসেন এবং বাধ্যতামূলেক ছুটি দিয়ে রোকনকে  বাড়িতে পাঠানো হয়।

শুরু হয় মামলা নিয়ে নাটকীয়তা। মাদক উদ্ধার এবং আসামী আটক করা হয় ২৯ মে রাত আনুমানিক ৯টার পর। অথচ মামলার বাদী ডিবি’র এস আই মো: আমীর উদ্দিন মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করেছেন ৩০ মে বিকাল সাড়ে ৪ টায় তাদের একটি টিম গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার থেকে নজরুল কে ধরেন এবং অপর আসামী পলাশ দৌড়ে পালিয়ে যায়।

মাদক ব্যবসার মূলহোতা হাসপাতালের পরিচালক আশফাক ইভান ও ব্যবস্থাপক মওদুদ আহমেদ কে মামলার স্বাক্ষী হিসাবে দেখিয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ১৬( ১ ) , ১৪( খ ) / ৪১ ধারায় মামলা রুজু করেন। দারুসসালাম থানার মামলা নং-৫২ , তারিখ দেখানো হয় ৩০ মে। অথচ মামলার তদন্ত তদারকী গোয়েন্দা বিভাগ তেজগাঁও এর অধীনেই রেখেছেন।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন হলো ঘটনা যদি রাস্তার উপরই হয় তাহলে আসামী হবে বাহিরের কেউ বা স্বাক্ষী থাকবে প্রতক্ষ্যদর্শী বা পাশের দোকানীরা। আসামী এবং সাক্ষী দুটোই গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের কর্মকর্তারা কেন ? বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর ভেতর ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।

গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালটি পরিচালনা করে ডা: ইসরাত জাহান ( ইলা ) তিনি সহযোগী অধ্যাপক ( গাইনী বিভাগ ) শহীদ সোহরাউয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,ঢাকা । এবং ডা: মো: জোবায়েদ হাসান সহকারী অধ্যাপক ( কার্ডিয়াক সার্জারী ) জাতীয় হৃদরোগ ইনিষ্টিটিউট ও হাসপাতাল,ঢাকা ।

ফেনসিডিল উদ্ধার এবং দুইজন আটকের বিষয়টি ডা: ইসরাত জাহান ( ইলা ) এ প্রতিবেদকের নিকট নিশ্চিত করেছেন।এ বিষয়ে সংবাদপত্রে কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকিসহ অসৌজন্যমূলক আচারন করেন ডা: মো: জোবায়েদ হাসান ।

গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্হ্য সেবার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা ও সেবন বন্ধ করে এলাকার যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।