• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৩, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন / ৮৮
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জঃ পিঠা গ্রামীন বাংলার সংস্কৃতির একটি অংশ। স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয় যদি হয় হরেক রকমের তাহলে তো কোন কথাই নেই। এরপর যদি আয়োজন হয় স্টলে স্টলে তাহলেতো আনন্দ হয় দ্বিগুন।

বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা প্রশাসন ও শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিক চত্ত্বরে এ পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ভাবুক, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।

এ পিঠা উৎসবে বসেছে ৯টি স্টল। স্টলগুলোতে শোভা পেয়েছে চিতই, ভাপা, পুলি, নারকলের তক্তি, খাঁজা পাকন, নারকেল নাক, শিমফুল, চাঁন্দোসা, সবজি কুলি, তারা, কলা, কাঠাল, পাটি সাপটা, বৈশাখী, আঙ্গুরী, সংসারী, লবঙ্গসহ প্রায় শতাধিক প্রকার পিঠা। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নানা বয়সি মানুষ এ উৎসবে যোগ দেন। বিভিন্ন পিঠা থেকে স্বাদ গ্রহন করেন তারা। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।

পিঠা উৎসবে আসা শিশু লাভলী খানম বলেন, বাবার সাথে পিঠা উসবে এসেছি। একসাথে এত রকমের পিঠা কোন দিন দেখিনি। কয়েক রকমের পিঠা খেলাম খুব ভাল লাগছে।

পিঠা উৎসবে আসা গৃহবধু জেসমিন বেগম বলেন, আমি এখানে এসে অনেক ধরনের নতুন নতুন পিঠা দেখলাম। এখান থেকে কিছু নতুন পিঠা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে নিয়েছি।

রোভার স্কাউট লিডার অমিত হাসান বলেন, আমরা রোভার স্কাউট থেকে পিঠা-পুলির বিক্রির একটি স্টল দিয়েছি। আমাদের এই স্টলে ৫০ প্রকারের পিঠা রয়েছে। আমরা সকল শ্রেণির ক্রেতার কথা চিন্তা করে প্রকার ভেদে এক একটি পিঠা ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছি।

কবি মিন্টু রায় বলেন, একদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যদিকে পিঠা-পুলির আয়োজন। এই দুই আয়োজনে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো শিল্পকলা একাডেমির চত্ত্বর। এটি সত্যি মনোমুগ্ধকর।

শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল বলেণ, আমাদের নতুন প্রজন্ম অপরিচিত বাঙালির পিঠা-পুলির সঙ্গে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের পিঠা-পুলির পরিচয় টুকু যেনো বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এই পিঠা উৎসব আমাদের লোকজ সংস্কৃতিরই একটি অংশ। সম্মিলিতভাবে এ বছরই প্রথম আমরা এ উপজেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। সাথে রয়েছে বাড়তি আয়োজন হিসেবে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দিনে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এভাবে ভিড় থাকলে আমাদের এ উৎসব আরও একদিন বাড়তে পারে।