• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধি নারীকে মারপিট ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদককে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : জুলাই ১২, ২০২৩, ৫:৪৭ অপরাহ্ন / ২৩৯
গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধি নারীকে মারপিট ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদককে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধি নারীর ভাড়া বাসার দরজা ভেঙ্গে নিয্যাতন, মারপিট ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদককে জড়িয়ে বানোয়াট, ভীত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকালে জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্সনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী নারী শানু খানম ও ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অমির হামজার পিতা হাফিজ কাজী। প্রতিবন্ধী ওই নারী গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আমির হামজার বাসার ভাড়াটিয়া।

লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী নারী শানু খানম বলেন, রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশি বাসিন্দ নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশার সাথে বাসার মালিক হাফিজ কাজীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ১০ জুলাই সোমবার সকালে আমার বাসার গেট তাদের রাস্তার উপর খুলে গেলে তারা গেটে লাথি মারে। পরে আমার বাসায় ঢুকে আমাকে ও আমার মাকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

একই সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমির হামজার বাবা হাফিজ কাজী বলেন, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ৮ টায় বাড়ির নিচতলায় চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি বাসার ভাড়াটিয় প্রতিবন্ধী শানু খানমকে মারপিট করছে প্রতিবেশি বাসিন্দ নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশা। আমার ছেলেসহ আমরা নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশাকে ঠেকাতে যাই।প্রতিবেশি বাসিন্দ নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশা মারধরের যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা। এ ঘটনায় আমার ছেলে আমির হামজা জড়িত নয়। তারপরেও আমার ছেলেকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশে মিথ্যা, বানোয়ট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নোমান হোসেন তমাল বলেন, আমির হামজার বাড়ির ভাড়াটিয়া আমাদের জায়গায় দৈনন্দিন ময়লা আবর্জনা ফেলে আসছে। বিষয়টি তাদের বলতে গেলে স্ত্রীসহ আমাকে মারপিট করে। সেজন্য আমার স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেছেন।

আইরিন সুলতানা আশা বলেন, আমরা কাউকে মারপিট করিনি। উল্টো তারা আমির হামজাকে নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাবেদ মাসুদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ অভিযোগ করেছে। মুলত তাদের মধ্যে আগে থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে মনমালিন্য ছিলো। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।