• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ: সকল শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটি হতবাক


প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০২৩, ৬:৪০ অপরাহ্ন / ৩৭
খুলনার পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ: সকল শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটি হতবাক

মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির ১১নং আগড়ঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারপিট করার ৮ মাস পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এক অবিভাবক। অভিযোগের বিষয় জানতে পেরে সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা হতবাক হয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১শে অক্টোবর ২০২২ সকাল ১০ টায় প্রাক-প্রাথমিকের ছাত্র সুহৃদ বিশ্বাস (৬) কে কোন কারণ ছাড়ায় ক্লাস রুমে বেদম মারপিট করেন প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা রানী ঘোষ। মারপিটের কারনে সুহৃদের ঘাড়ে ও মাথায় মারাত্বক আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে তার মা শিল্পী বিশ্বাস পাইকগাছা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে খুলনা ও ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করান মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে স্কুলে গেলে সহকারী শিক্ষক ইসরাইল হোসেন সকল শিক্ষকগনের পক্ষে এ প্রতিনিধিকে বলেন, শিক্ষার্থী সুহৃদ বিশ্বাসের মারপিটের বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। এমন ঘটনা ঘটলেতো আমরা তার সহকর্মী হিসেবে আগে জানতাম। শিল্পী বিশ্বাস নিশ্চয়ই কোন অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের প্রধান শিক্ষকের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির সদ্য বিদায়ী সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন জানান, আমি সভাপতি থাকাকালীন অত্র স্কুলে শিক্ষার্থীকে এমন মারপিট করার ঘটনা জানিনা। আমাকে কেউ কখনো বলেনি। আমি আজ জানলাম প্রধান শিক্ষকের নামে একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে জমা দিয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, আমি দায়িত্বভার নেয়ার পর এমন মারপিট করার কোন ঘটনা ঘটেনি বা কখনো কোন শিক্ষার্থীকে মারপিট করার অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেননি। প্রধান শিক্ষকের নামে অভিযোগের কথা শুনে আমি হতবাক হয়েছি। অভিযোগকারী শিল্পী বিশ্বাসের কাছে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে কোন কথা বলবোনা। অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন অভিযোগ যেটা করেছি এটা সত্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।