• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

খুলনার কয়রা দেখে গেলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৯, ২০২৪, ৪:২৮ অপরাহ্ন / ৩২
খুলনার কয়রা দেখে গেলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া

মানছুর রহমান জাহিদঃ খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা ঘুরে গেলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি এলাকার নয়নী মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। পরে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গসমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর কার্যক্রম পরিদর্শন ও মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের অনুভূতি শুনেছেন ও জীবন জীবিকা কার্যক্রম অবলোকন করেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে গল্প করেন, এক নারীর মাছ ধরা দেখেন, তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন।

সকাল ৮টার দিকে ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী পান্ডুগাজী ইউনাইটেড একাডেমির মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন। সেখান থেকে তিনি তিন কিলোমিটার দূরে সড়ক পথে সুন্দরবন তীরবর্তী নয়ানী গ্রামে যান। সেখানে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ও সুইডেনের সহায়তায় নির্মিত বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পানি শোধনাগার থেকে স্থানীয়দের পানি সংগ্রহ কার্যক্রম দেখেন। উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। নারীদের কাছে তিনি জানতে চান, জলবায়ু পরিবর্তন তাঁদের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে। কী ধরনের চ্যালেঞ্জ তাঁদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
এরপর ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া একই ইউনিয়নের সুন্দরবনসংলগ্ন শিকারী বাড়ি গ্রামে যান। সেখানে ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে করা বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার হয়েও লড়াই করে যাওয়া স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শিকারী বাড়ি গ্রামের জোসনা খাতুন, কাকুলি আক্তার, হালিমা বেগম ও আকলিমা খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প তাঁকে বিস্মিত করে। এ সময় স্থানীয় এক নারী নিজেদের পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে দেখান রাজকন্যাকে। রাজকন্যা বেশ কিছুটা সময় তাঁদের সঙ্গে কাটান এবং তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন।

এ দিকে সকালে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়াকে কয়রায় স্বাগত জানান খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বি. এম. তারিক-উজ-জামান।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে কয়রা ছাড়েন।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথির কয়রায় আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১ হাজার ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি রেব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।