খুলনা অফিসঃ র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গত ০৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ রাতে ভিকটিম মিরাজ কাজীকে আসামী মোঃ সোহেল হোসেন ফোন করে দৌলতপুর থানাধীন স্টেশন রোড হেলাল জুট মিলের ভিতরে ডেকে নেয়। ভিকটিম মিরাজ কাজী জুট মিলের ভিতরে পৌছালে আসামী মোঃ সোহেল হোসেন পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো চাপাতি দিয়ে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়। গত ০৫ জুলাই ২০২৩ তারিখ খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন নদীবন্দর ০৭নং ঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর কিনারায় পানির মধ্যে ভিকটিমের লাশ ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। পরবর্তীতে কেএমপি খুলনার সদর নৌ পুলিশ, ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণেয়ের লক্ষ্য ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ভিকটিমের পরিচয় ও হত্যা সংক্রান্ত কোন সঠিক ক্লু না পেয়ে নৌ পুলিশ বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, উক্ত ক্লুলেস অটোচালক মিরাজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহেল হোসেন ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি র্যাব-৩, টিকাটুলি, ঢাকা এর সহায়তায় একই তারিখ ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানাধীন বসিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আাসমী মোঃ সোহেল হোসেন (৪২), থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সদর নৌ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
(ছবি তৈয়ব আলী পর্বত)
আপনার মতামত লিখুন :