• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জমি বিক্রি জের ধরে ভাংচুর, হামলা আহত- ১০


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২৪, ৬:৫৪ অপরাহ্ন / ৪১
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জমি বিক্রি জের ধরে ভাংচুর, হামলা আহত- ১০

নিজস্ব প্রতিদেক, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাড়ির পাশে ফসলি জমি বিক্রির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির ধুড়িয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সফিকুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান, মনজু রহমান রুবেল, মজিবুর রহমান, রুবেলের স্ত্রী আয়েশা বেগম, খুরশিদা বেগম, আবু তাহেরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, আবু জাকের, হিরণ, শাকিল ও পেয়ার আহম্মেদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুড়িয়ারা গ্রামের মৃত. সফিকুর রহমানের ছেলে মজিবুর রহমান গংদের একটি ফসলি জমি একই গ্রামের মৃত. মনোহর আলীর ছেলে আবু তাহেরর বাড়ির পাশে থাকায় ওই জমিটি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন আবু তাহের ও তার ছেলেরা। এতে রাজি না হওয়ায় আবু তাহের ও তার ভাই জাকের, ছেলে জয়নাল আবেদীন হিরণ, রফিক ও শাকিল সহ ১৫-১৬ জনের একটি গ্রুপ মজিবুর রহমানদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি মোটর সাইকেল ও তিনটি বসত ঘর ভাংচুর করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনজু রহমান বলেন, আবু তাহেরদের বাড়ির পাশে তাদের একটি ফসলি জমি রয়েছে। সে জমিতে কোন ফসল করলে তার হাঁস মুরগীয়ে নষ্ট করে পেলে। এতে কোনো কিছু বলে হুমকি দুমকি দেয় এবং তাদের কাছে জমি বিক্রি করার জন্য বলেন। কিন্তু দিন পূর্বও ধান কাটতে গেলে তারা বাঁধা দেন। মঙ্গলবার সকালে আবু তাহেরের দুই ছেলে বিদেশ থেকে এসে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিন ভাইয়ের বসত ঘর ভাংচুর করে একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে তাদের ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সহ ৬ জনকে আহত করে। তিনি এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন হিরণ বলেন,
মঙ্গলবার সকালে আমাদের এক চাচাতো ভাইকে তারা আটক করে রাখে। তাকে উদ্ধার করার জন্য আমরা ওই বাড়িতে যাই। বাড়ি ঘর ভাংচুরের বিষয়টি মিথ্যা। আমার মা সহ ৫ জনকে আহত করে।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।