• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াস ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’ চালু


প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২৩, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন / ১০৬
কুড়িগ্রামে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াস ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’ চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে যেসব ফৌজদারী মামলা রুজু হয়, তার তিনভাগের দুইভাগই জমি জমা সংক্রান্ত, প্রেম- পরকীয়া প্রেমের কারণে অপহরণ ও যৌতুক সংক্রান্ত এবং মাদক সংক্রান্ত।

জমি-জমা ও সম্পর্ক নিয়ে যে সব ফৌজদারী মামলা রুজু হয় তার অধিকাংশই সিভিল স্যুট বা সামাজিক ইস্যু। কিন্তু অনেকে মাঝেই ঘুরিয়ে পেচিয়ে এসব মামলাকে যেনতেন ভাবে ফৌজদারী মামলায় রুপান্তর করার অভিপ্রায় লক্ষ্য করা যায়। যা আদতে কোন পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হয় না, বরং বেড়ে যায় ব্যয় ও লেগে যায় অনেক সময়। এমতাবস্থায় ফৌজদারী মামলা হওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন সব বিষয়ে নাগরিকদের সময়, অর্থব্যয়, ভিজিট কমাতে এবং একই সাথে মামলা সংক্রান্তে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ মাসিক ভিত্তিতে চালু করেছে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’।

সোমবার সকাল ১১টা  হতে ৩টা পর্যন্ত পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস ড্রিলশেডে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আগত প্রায় ১৫০ জন সম্মানিত নাগরিক ও সেবা প্রার্থীর বক্তব্য শুনেন ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে উপস্থিত অফিসারবৃন্দ। কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. সাজ্জাদ হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোছাঃ শারমিন আক্তার, উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর মো. রোকোনুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোছাঃ জেবুন্নেসা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আবু জাফর।

সম্মানিত সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে কার্যকরী ব্যবস্থা ও ন্যায্যতার জন্য উক্ত অফিসারবৃন্দ তাৎক্ষণিক প্রসিকিউশন বা জিডি গ্রহণের উদ্যোগ নেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী অফিসসমূহে সেবা প্রার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য রেফার করেন।

নাগরিক সেবায় পুলিশের এই উদ্ভাবনী এই সম্মিলিত উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট পুলিশ অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন।

ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে নাগরিকসেবা দ্রুতগতিতে নিশ্চিত করতে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রুহুল আমীন, কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. কে. এম. ওহিদুন্নবী,নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজা, ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদুল হাসান পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবিঃ) এস এম ইস্রফীল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবিঃ) মো. রাসেল রানা।