• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জের আ: লীগ নেতা বাবলু মাস্টার পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্যামনগরে ফুর্তি করার সময় জনতা ও পুলিশের হাতে কট!


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১১:৪৭ অপরাহ্ন / ৯০
কালীগঞ্জের আ: লীগ নেতা বাবলু মাস্টার পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্যামনগরে ফুর্তি করার সময় জনতা ও পুলিশের হাতে কট!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরাঃ কালীগঞ্জের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ফিফা রেফারি ইকবাল আলম বাবলু ওরফে বাবলু স্যার এক হিন্দু পরস্ত্রীকে নিয়ে শ্যামনগরে ভাড়া বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় জনতা, পুলিশের হাতে কট। কথিত সাংবাদিক এর মধ্যস্থতায় রাতভর দেন দরবারে ৫ লাখ টাকায় রফা দফায় মুক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ অক্টোবর রাতে শ্যামনগর উপজেলার বাদাঘাটা গ্রামের উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পাশে জনৈক আবুবক্কারের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় সারকাজু সানিহাত বালিকা মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় একটি ভাড়া রুমে। মাস খানেক আগে এই রুমটি ভাড়া নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা ক্রীড়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক, কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বাজার গ্রাম পশ্চিম বাইতুন নূর জামে মসজিদের সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ফিফা রেফারি, উজ্জীবনী ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কালীগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রামের,সাবেক পোস্টমাস্টার মৃত গোলাম রহমানের পুত্র লম্পট ইকবাল আলম বাবলু ওরফে বাবলু স্যার ভাড়া নেয়।ভাড়া নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাড়তদহ গ্রামের সুইজগেট সংলগ্ন গোবিন্দ মণ্ডলের বিবাহিত কন্যা এবং লিডারস এন,জিওর কর্মী সমাপ্তি মন্ডল কে রক্ষিতা হিসেবে রেখে লোক চক্ষুর আড়ালে গোপনে দিনে রাতে যাতায়াত করতো। হিন্দুদের দুর্গাপূজার শুরুতেই গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় লম্পট প্রধান শিক্ষক দুই সন্তানের জনক ইকবাল আলম বাবলু তার রক্ষিতার ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি আশপাশের লোকজন জানতে পেরে একত্রিত হয়ে ঘরের বাইরে থেকে আটকিয়ে ডাকতে থাকে।ঘন্টা খানেক তাদের ডাকে সাডা না দেওয়ায় স্থানীয় পাশের কথিত সাংবাদিক আমজাদ হোসেন মিঠুকে ডাক দেয়। ওই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে এসে ডাকাডাকিতে কোন সাড়া না পাওয়ায় রাত ১০টার সময় থানায় ফোন দেয়। খবর পেয়ে থানা হতে রাত সাড়ে১০টার সময় উপ পরিদর্শক অমিত সঙ্গে একজন কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিচয় ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে কিছু বুঝে না ওঠার আগে মাস্টার এবং তার রক্ষিতাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে কথিত এই সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করে। পরে গ্রেপ্তার এবং ভিডিওর ভয় দেখিয়ে দর কষাঘষি শুরু করে প্রথমে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে ওই সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় পাঁচ লাখ টাকায় দফারফা হয়।এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামনগর আওয়ামী লীগের অনেকগুলো তার কাছে ফোন দেয় তাকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু অবস্থা বুঝে তখন কোন নেতাও এগিয়ে আসেনি।

রাত ১২ টার সময় মান সম্মান বাঁচাতে টাকার জন্য তার বড় ভাই সুদখোর মশিউল আলম ডাবলু কে খবর দেয় খবর পেয়ে তার বড় ভাই টাকানিয়ে ঘটনাস্থলে ওই বাড়িতে পৌঁছালে দফারফা শেষ হয়। ওই সময় পত্রিকার নিউজ বন্ধ এবং স্থানীয় বখাটেদের দেওয়ার জন্য কথিত ওই সাংবাদিক মিঠু দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে রাত আনুমানিক ৩ টার সময় লম্পট বাবলু মাস্টার তার রক্ষিতাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু বিপত্তি ঘটে অন্য জায়গায় বখাটেদের টাকার ভাগ না দেওয়ায় ধারণ কৃত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে টক অফ দি ডাউনে পরিণত হয়। ইকবাল আলম বাবলু কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক থাকতে এক ছাত্রীকে গর্ভবতী করে একটি ক্লিনিকে গোপনে গর্ভপাত করানোর ঘটনায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে উজ্জীবনী ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়েগত বছর দুই আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। তারপরও থামেনি তার লম্পটগিরী।শিক্ষকতার ছদ্মবেশে বহু ছাত্রীএবং বহু নারীকে সর্বনাশ করেছে বলে জানা যায়। সে রেফারি পেশাকে পুঁজি করে বিভিন্ন জায়গায় খেলা পরিচালনার নাম করে বাড়ি থেকে বাইরে ভাড়া বাসায় রক্ষিতাকে নিয়ে রাত্রি যাপন করতো। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য প্রধান শিক্ষক ইকবাল আলম বাবলু মাস্টারের ব্যবহৃত ০১৭১১৩৪৯২৬২ এবং ০১৯৮২১১৩৩৬১ নং যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। রক্ষিতা সমাপ্তির স্বামী তারালি গ্রামের পুলক মন্ডলের ব্যবহৃত ০১৭১৮০৫০৫১৬ নং কথা বললে তিনি জানান আমার স্ত্রী বাড়িতে না এসে শ্যামনগরে ভাড়া বাসায় চাকুরীর কথা বলে থাকতো। তবে সে যে এরকম দেহ ব্যবসায়ী বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি ঘটনা জানতে পেরেছি বিষয়টি আমি ব্যবস্থা নেব।এ ব্যাপারে ঘটনার আরও সত্যতা জানার জন্য শ্যামনগর থানার উপ পরিদর্শক অমিতের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি স্বীকার করে।কিন্তু টাকা পয়সা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান মাস্টার এবং তা রক্ষিতা কে ধরা হয়েছিল ঠিকই তবে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি।টাকা লেনদেনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তবে আমরা শুনেছি কথিত সাংবাদিক আমজাদ হোসেন মিঠু পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে ঝামেলা পাকিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন কালিগঞ্জ শ্যামনগর উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।