• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

কাজ না করেই বেতন নেওয়ার অভিযোগ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধিকাংশ আউটসোর্সিং কর্মচারীর বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২১, ২০২৪, ৮:৫৩ অপরাহ্ন / ১৫১
কাজ না করেই বেতন নেওয়ার অভিযোগ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধিকাংশ আউটসোর্সিং কর্মচারীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত তিন মাস যাবৎ হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা গেছে আউট সোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীদের কোন কাজে পাওয়া যায় না। যাদেরকে পাওয়া যায় তারা সব কিছু করেন টাকার বিনিময়ে। রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর বেডে নেওয়া থেকে শুরু হয় টাকার খেলা। আউটসোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারীরা ঠিকঠাক হাজিরা উঠিয়ে চলে যান ব্যক্তিগত কাজে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি একান্ত প্রয়োজন।

গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকার কর্তৃক ঠিকাদারদের মাধ্যমে আউট সোর্সিং এ ১৬৩ জনবল নিয়োগ দিয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ে। এই সকল নিয়োগ প্রাপ্তরা প্রতি মাসেই সময় মতো বেতন ভাতা বুঝে নিচ্ছেন সরকারের কাছ থেকে। বেতন ভাতা সময় মতো নিলেও কর্মস্থলে অনেককে পাওয়া যায় না। এরা কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে যোগদান করেছে এই হাসপাতালে। ঠিকাদারদের নিজস্ব লোকজনদেরকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ সকল নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মস্থলে নাই। এরা হাসপাতালে ডিউটি করছে যে যার ইচ্ছা মত। কেউ সময় মতো এসে বেতন তুলে নিচ্ছে, কেউবা দুর থেকে হাজিরা বসিয়ে সুবিধা লুটছে। এ ব্যাপারে বাঁধা দেওয়ার যেন কেউ নাই কারণ এরা সব হাসপাতালের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে এরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চাকুরিতে যোগদান করেছে তারাও এ ব্যাপারে নজরদারি করেন না। ঠিকাদাররা টাকার বিনিময়ে এদের যোগদান করিয়ে খালাস। ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দল অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গেলে নাম না জানাতে ইচ্ছুক এক কর্মচারীর নিকট অনুপস্থিত লোকজনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা সকলেই এই এলাকার ও আশেপাশের লোকজন। কেউ এলাকার দাপট দেখিয়ে চলে কেউবা প্রভাবশালী ঠিকাদারদের লোক দিয়ে চলে। যে যার ইচ্ছা মতো ডিউটি করে দেখার কেউ নাই।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সম্পদ, এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আউট সোর্সিং এর জনবল যে সকল ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছে, সেই সকল ঠিকাদারদের উচিত ওরা ঠিকমতো কর্তব্য পালন করছে কি না সেটা দেখা। আমি এই সকল বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি।

এ ব্যাপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুল লতিফের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কড়া নজরদারি করছি। মেডিকেল হাসপাতালটি আপনাদের সকলের সম্পদ। এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের সাধ্যমতো আমরা কাজ করছি।