• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

আগামী এপ্রিল মাসে বিআরটিসিতে যুক্ত হচ্ছে ৩৪০ এসি বাস


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ২:২২ অপরাহ্ন / ২৩১
আগামী এপ্রিল মাসে বিআরটিসিতে যুক্ত হচ্ছে ৩৪০ এসি বাস

এম শিমুল খান, ঢাকাঃ আগামী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩৪০টি সিএনজি চালিত একতলা এসি বাস। বর্তমানে বিআরটিসির বহরে থাকা মেরামত অযোগ্য ও অকেজো বাস গুলো সরিয়ে সেখানে নতুন বাস গুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। এরমধ্য দিয়ে সিটি, ইন্টারসিটিতে নির্ভরযোগ্য ও আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বাড়বে।

বিআরটিসি সুত্রে জানা গেছে, নতুন ৩৪০টি বাসের মধ্যে সিটিতে চলবে ১৪০টি, বাকি ২০০ বাস চলবে ইন্টারসিটিতে। এদিকে বিএনপির চলমান হরতাল-অবরোধেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে বিআরটিসি বাস। আয় কম হলেও নিয়মিতই চলছে বিআরটিসি বাস। সড়কে অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় বিআরটিসি বাসের আধিক্য রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। যদিও গত ২৮ অক্টোবর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৭টি বাস ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু করে। শুরুতে ৮টি বাস দিয়ে শুরু হলেও যাত্রী বাড়ায় এখন ১৩টি বাস চলাচল করছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু করেছে বিআরটিসি। গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে লাইব্রেরিটা উদ্বোধন করেন।নতুন প্রজন্মসহ সর্বমহলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, জীবন ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য এই লাইব্রেরি।

মেট্রোরেলের যাত্রীদের স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আগামী বছরের মধ্যেই ৩৪০টি বৈদ্যুতিক কোরিয়ান এসি বাস কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাসগুলো কোরিয়া থেকে কেনা হবে। এছাড়া মেরামতের জন্য প্রায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশও আনা হবে দেশটি থেকে।

জানা গেছে, ১৪০টি ঢাকায় চলবে, বাকি ২০০টি ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা শহরে যাত্রী পরিবহন করবে। রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আরামদায়ক করতে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত হচ্ছে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এর একটি র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য এরই মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট শীর্ষক এ প্রকল্পের কাজ বিস্তৃত করা হচ্ছে মহাখালী হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে মেট্রোরেল।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও কোরিয়া থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৮২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানান, এই বাসগুলোর মাধ্যমে আন্তঃনগর ও অন্তঃনগরে নির্ভরযোগ্য আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। মেরামত অযোগ্য বাসগুলোকে পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস দ্বারা প্রতিস্থাপন করা। এর ফলে পরিবেশবান্ধব পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪০টি সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি সিটি বাস ও ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ সম্পর্কিত পরিষেবা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ২০০টি সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি ইন্টারসিটি বাস ও ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ সম্পর্কিত পরিষেবা সংগ্রহ হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিআরটিসি দেশে বৈদ্যুতিক বাস আমদানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই প্রকল্পের ঋণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বহরে নতুন বাস যোগ হচ্ছে না। তাই সিএনজিচালিত বাস আমদানি করা হচ্ছে।

বাসের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসের দাম প্রস্তাবের চেয়ে কমও হতে পারে। উন্মুক্ত দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে বাস কেনা হবে। বাসগুলো সাত বছর চললেই পুরো ঋণের খরচ উঠে যাবে।

এসব বাস কেনার পেছনে যুক্তি দেখিয়ে বিআরটিসি বলছে, ঢাকার নগর পরিবহ ব্যবস্থায় বিআরটিসির কিছু নন-এসি বাস চলছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার প্রচণ্ড গরমে নন-এসি বাসগুলো কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছে না। এসি বাসের স্বল্পতায় এসি প্রাইভেটকার বাড়ছে, যা যানজট ও বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে। তাই আরামদায়ক গণপরিবহনের নিশ্চয়তায় বিআরটিসির জন্য এসি বাস কেনা হচ্ছে।