মোঃ রাসেল সরকারঃ র্যাব-৪ রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকা হতে গোপনে ধারনকৃত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইল অভিযোগে খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ’কে গ্রেফতার করেছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের জন্য র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে এক ভিকটিম অধিনায়ক, র্যাব-৪ বরাবর পর্নোগ্রাফির বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাপ্ত অভিযোগের পরপরই র্যাব-৪ এর সাইবার সেল উক্ত অভিযোগের তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ২২.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৪ এর সাইবার সেলের একটি চৌকশ আভিযানিক দল রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন বশির উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন নারী ভিকটিমের বিপুল পরিমান নগ্ন ছবি, ভিডিও, ইমু ও ম্যাসেঞ্জার কথপোকথনের স্ক্রীনশটসহ নি¤েœাক্ত আসামী’কে গ্রেফতার করা হয় খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ (২৪), জেলা-ঝিনাইদহ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমের সহিত প্রায় ০১ বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। তখন থেকেই ভিকটিমের সাথে আসামীর মাঝে মাঝেই ম্যাসেঞ্জার এ কথাবার্তা হতো এবং আস্তে আস্তে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুকৌশলে
ভিকটিমের নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে বা এডিট করে।এসব নগ্ন ছবি, ভিডিও বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে গ্রেফতারকৃত আসামীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ভিকটিম আসামী’কে বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্নভাবে টাল-বাহনা শুরু করে।
একপর্যায়ে সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের কাছে টাকা দাবী করে, শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে ধারণকৃত ভিকটিমের নগ্ন ছবি, ভিডিও ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধাবের কাছে পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। ভিকটিম যখন বুঝতে পারেন আসামী সাব্বিরের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়, একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক তখন ভিকটিম তাদের সম্পর্ক
ছিন্ন করার চেষ্টা করলে আসামি ভিকটিমের কাছে ৫,০০,০০০/-টাকা দাবী এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে তার কাছে থাকা সমস্ত নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল করবে বলে হুমকি প্রদান করে এবং একপর্যায়ে আসামী ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধাবের কাছে পাঠিয়ে তাকে সামাজিক ভাবে লাঞ্চিত করে । জিঙ্গাসাবাদে আাসামী সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে তার মোবাইলে ও গুগল ড্রাইভে বিপুল পরিমান নগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় পর্নগ্রাফী এ্যাক্ট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :