• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

সাইড না দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটালেন ছাত্রলীগ কর্মী


প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২২, ১১:১৯ অপরাহ্ন / ২৫৩
সাইড না দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটালেন ছাত্রলীগ কর্মী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ রাস্তায় সাইড না দেওয়া নিয়ে লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকালে পৌরসভার নুড়িগাছতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত নাছিমা ও সালাউদ্দিনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা নাছিমা আক্তার (২৫) সদর উপজেলার পশ্চিম সহিদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী। সে লাহারকান্দি ইউনিয়নের বাইশমারা ইসলামি ব্যাংক এজেন্ড শাখার অফিস সহকারি হিসাবে কর্মরত আছে। অপরদিকে সালাউদ্দিন (৩১) একই এলাকার সহিদ উল্ল্যাহর ছেলে।
অভিযুক্ত ইমন হোসেন পৌরসভার লাহারকান্দি গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী।
হাসপাতালে আহত অবস্থায় নাছিমা আক্তার বলেন, স্বামীর মোটরসাইকেলে করে বিকালে বাড়ির উদ্দেশ্য যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ি বাইশমারার সমর উদ্দিন বাড়ির সামনে পৌঁছালে বীপরিত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চালক ইমন (অভিযুক্ত) আমার স্বামীকে কিলগুসি দিতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ঝগড়া থামিয়ে উভয়কে মিলমিশ করে দেয়। তাতেও শান্ত হয়নি ইমন। অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন আমাদের।
পরবর্তীতে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা করি আমরা, কিন্তু ইমন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের পিছনে পিছনে আসতে থাকে। মোটরসাইকেলটি পৌরসভার নুড়িগাছতলা এলাকায় আসলে ইমন ও তাঁর সঙ্গে থাকা ৭-৮ জন আমাদের লাঠি ও রড দিয়ে এলোপতাড়ি মারধর করতে থাকে। এতে আমার পেট ও শরিরে মারাত্বক আঘাত লাগে। সালাউদ্দিনের মাথা, পাসহ পুরো শরীরে মারধর করা হয়। তাছাড়া ইমনরা আমার ব্যাগে থাকা নগদ ৬৮ হাজার টাকা ও কানের দুল এবং গলার চেইন নিয়ে যায়। তবে ইমনকে ছাড়া বাকিদের চিনতে পারিনি।
ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভাই জহির উদ্দিন বলেন, ইমন উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছেলে। সে সবসময় ১০-১৫ জনের গ্রুপ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে। তাছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় স্থানীয়রা ভয়ে ওর কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না।
আরো বলেন, সড়কে মোটর সাইকেল সাইড দেওয়াটা হচ্ছে একটা অযুহাত মাত্র। মূলত, নাছিমা ব্যাংকে চাকরি করে, ওর কাছে সব সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণের গহনা থাকে। তাছাড়া প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ইমনরা সবকিছু জেনেই পরিকল্পিতভাবে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য এ হামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আসামী করে থানায় মামলা করা হবে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী ইমনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।