• ঢাকা
  • শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

পদ্মায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভিযান : জব্দ করা মাছ পেলো রিকশাচালকরা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন / ১৬
পদ্মায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভিযান : জব্দ করা মাছ পেলো রিকশাচালকরা

এম,এম, সাইফুর রহমান, চরভদ্রাসন, ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে পরিচালিত অভিযানে মোট ২২ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, জব্দকৃত জাল পদ্মার তীরবর্তী গোপালপুর ঘাটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এছাড়া, গতকাল রাত ১০টায় ৩ কেজি এবং আজ বিকেল ৪টায় ২ কেজি মা ইলিশ জব্দ করে উপজেলার রিকশা ও ভ্যানচালকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। নিষিদ্ধ ইলিশ পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাঁসি।

রিকশাচালক কাসেম মোল্লা বলেন, “ইলিশ মাছের দাম এত বেশি যে সারা বছর খাওয়া হয় না। আজ মৎস্য অফিসারের মানবতার কারণে পোলাপান লইয়া ইলিশ খাইতে পারুম।”
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব, ক্ষেত্র সহকারী শামিম আরফিন, চরভদ্রাসন থানার এসআই রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই অভিযান পরিচালিত হয় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্যা এমদাদুল্লাহর নির্দেশনায় এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকারের তত্ত্বাবধানে।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর দিয়ারা গোপালপুর, ভাটি শালেপুর, চর হাজিগঞ্জ ও চর তাহেরপুরসহ বিভিন্ন জলসীমায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানের সময় দুর্বৃত্ত জেলেরা জাল ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব বলেন, “নদীর প্রস্থ কম হওয়ায় স্পিডবোটের শব্দ শুনে জেলেরা পালিয়ে যায়, ফলে তাদের ধরা যায় না। তবে আমরা নিষিদ্ধ জাল ও মাছ জব্দ করেছি। তিনি আরও জানান ইলিশ সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”