• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

দৃশ্যমান টঙ্গীবাড়ী শিশু পার্ক, অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন : বদলে যাচ্ছে বিনোদনের চিত্র


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ন / ১৮১
দৃশ্যমান টঙ্গীবাড়ী শিশু পার্ক, অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন : বদলে যাচ্ছে বিনোদনের চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুন্সীগঞ্জঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে এগিয়ে চলছে শিশু পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। সরকারি অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটি এখন দৃশ্যমান রূপ পেয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ ও প্রত্যাশার জোয়ার।
মুন্সীগঞ্জ জেলার টং‌গিবা‌ড়ি উপ‌জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গড়ে উঠছে আধুনিক এই শিশু পার্কটি। পার্কে থাকছে শিশুদের খেলাধুলার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, কৃত্রিম লেক, দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান, বিশ্রামাগার, বসার জায়গা এবং মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা।

শুধু শিশু নয়, পরিবারের সকল সদস্যদের বিনোদনের উপযোগী একটি পরিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে এখানে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি হবে টঙ্গীবাড়ী তথা পুরো মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র।

টং‌গিবা‌ড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, টং‌গিবা‌ড়ির শিশু পার্কের কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল, মাঝখান দিয়ে বন্ধ ছিল ৫ তারিখের পরে আবার কাজ শুরু হয়েছে আপনারা দেখতে পারছেন কাজ চলমান আছে।

এখানে যারা দখলদার ছিলেন সবাই চলে গেছে নিজের ব্যবস্থাপনায় কাউকে জোর করতে হয় নাই ২০২২ সাল থেকে এই জায়গাটা সরকারি, আমাদের জিম্মায় আছে। পা‌র্কের বাউন্টারের কাজও করছি অনেকে চেষ্টা করছেন বন্ধ করার জন্য যদি এমন কেউ করে ত‌বে আইনগত ব্যবস্থা নেব আমরা।
আমরা চাচ্ছি নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে দিব পার্কের ফিফটি পার্সেন্ট কাজ হয়ে গেছে বর্তমানে কাজ চলমান আছে। এখন কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে।
আমাদের টঙ্গীবাড়ীতে ঘোরার বা খেলাধুলার কোনো জায়গা ছিল না। পার্কটি নির্মিত হলে আমরা পড়াশোনার ফাঁকে এখানে সময় কাটাতে পারব।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পার্কটিতে থাকবে ওয়াকওয়ে, সেতু, গেজেবো, লাইটিং টাওয়ার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা। শিশুদের পাশাপাশি পরিবারগুলোও এখানে এসে নির্ভয়ে সময় কাটাতে পারবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কাজ শেষ হলে পার্কটি টঙ্গীবাড়ীর উন্নয়ন ও বিনোদন সংস্কৃতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।