• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করলো বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব সভাপতি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৬, ২০২০, ৩:৩১ পূর্বাহ্ন / ৯২৩
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করলো বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব সভাপতি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিক লিটু গত ৪ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ সাধারণ ডায়েরী করেছে। দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটুর থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্টোলার গোলাম হায়দারসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্টোলার গোলাম হায়দারসহ ৩ জনের নাম ও পদবী উল্লেখ করা হয়েছে থানায় দায়ের করা ১৭৪ নং জিডিতে বলা হয়েছে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও সাংবাদিক ফয়সাল জামানকে তলব করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য জানতে চেয়ে প্রক্টর ড. রাজিবুর রহমান কে ফোন করি।

অনশনরত শিক্ষার্থী বিষয়ক তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া আমাকে সাংবাদিক হিসেবে সহযোগিতার জন্য একাডেমিক ভবনে যেতে বলেন। আমি যথাযথ সময়ে উপস্থিত হলে তদন্ত কমিটির সদস্য ড.শাজাহান বলেন, তোমার মত সাংবাদিক আমরা কেয়ার করি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহজাহান এবং প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান আমার বিগত দিনের কিছু সংবাদের ব্যাখ্যা চান। আমি সব সংবাদের ব্যাখ্যা দেই। এরপর তারা দুজনই আমাকে হলুদ সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টর ডক্টর রাজিউর রহমান ছবি উঠানো হয় এবং ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ফেসবুক পেইজে প্রচার করায় তিনি আমাকে এবং বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের নামে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবেন বলেও হুমকি দেন।

এ ছাড়া কমিটির অন্যতম সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার আমাকে বলেন তোমার এলাকায় (খুলনা ৬) এমপির স্ত্রী আমার অধীনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করতেন। তিনি চাইলে উক্ত জনপ্রতিনিধিকে আমার বিষয়ে অভিযোগ করলে আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে হুমকি দেন।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গেঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন অসৌজন্যমূলক আচরন করেছেন এমন অভিযোগ তুলে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটুর সঙ্গেঁ অসৌজন্যমূলক আচরনসহ জীবনের হুমকির বিষয়টি নিয়ে কি হয় তা এখন দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষক মহল।