• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে ইউপি সদস্য কর্তৃক উন্নয়ন বরাদ্দ লুটপাট


প্রকাশের সময় : মার্চ ৪, ২০২৩, ৩:৩৫ অপরাহ্ন / ৩৫১
গোপালগঞ্জে ইউপি সদস্য কর্তৃক উন্নয়ন বরাদ্দ লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ১৬নং কাজুলিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য কর্তৃক এমপি টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক বরাদ্দের অর্থ লুটপাট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ওই মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে জনস্বার্থে তৈরি করা রাস্তা দখল করে বসত ঘর স্থাপন করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিক ইলিয়াস হোসেন ও শহিদুল মোল্লা জনস্বার্থে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৬নং কাজুলিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ড ও সাধারণ ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য মর্জিনা খানম গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও উন্নয়ন মূলক বরাদ্দ সঠিক ভাবে খরচ না করে অধিকাংশ লুটপাট করেছে। লুটপাট করা টাকার মধ্যে মাটির রাস্তা, মসজিদ, মন্দিরসহ কবর স্থানের বরাদ্দও রয়েছে। ওই অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় সরকারি রাস্তা দখল করে তৈরি ঘরে বসেই অসামাজিক কার্যকলাপ ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন মহিলা ইউপি সদস্য মর্জিনা খানম।

ইতিমধ্যে এ সকল অভিযোগের বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ত্রাণ দপ্তরের কর্মকর্তারা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ দপ্তরের একটি সূত্র। তবে এখন পর্যন্ত ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরি ব্যবস্তা গ্ৰহন করেনি উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলার ত্রাণ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব আলম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, সরেজমিন তদন্ত শেষ করেছি, দুই এক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিব।

এ বিষয়ে কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফকির বলেন, এলাকাবাসী আগেই আমার ইউনিয়ন পরিষদে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিল। আমি ওই মহিলা ইউপি সদস্যকে উন্নয়ন মূলক বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছি তিনি আমার কথা আমলে নেননি।

গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত, অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় ইউপি সদস্য মর্জিনা খানমকে গত ৫ জানুয়ারি ২০২২ সালে মহিলা আওয়ামী লীগ কাজুলিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মহিলা মেম্বর মর্জিনা খানম আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি, আমার প্রতিপক্ষরা আমার নামে অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।