• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় সমবায় কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিটির সভাপতির অদক্ষতায় বন্ধ হলো সমিতির চলমান নির্বাচন 


প্রকাশের সময় : মে ২৪, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ন / ১১৭
খুলনার পাইকগাছায় সমবায় কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিটির সভাপতির অদক্ষতায় বন্ধ হলো সমিতির চলমান নির্বাচন 

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউপির ফুলবাড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও ব্যর্থতায় ভোট চলমান অবস্থায় বন্ধ করতে বাদ্ধ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। যার ফলে প্রার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও ভোটাররা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

জানা গেছে, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে তফশীল ঘোষনার পর মাসব্যাপী ৬ টি পদে ১৫ জন প্রার্থী তাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেছেন এবং ২৪ মে (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ সমিতির‌ পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে প্রায় আড়াই হাজার সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৬’জন ভোটার। ভোট প্রাপ্তির আশায় প্রত্যেকের দারে দারে ঘুরেছে প্রার্থীরা। এদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে যথারীতি ভোট গ্রহণ শুরু করেন।

এরইমধ্যে সদস্য পদে টেবিল ফ্যান মার্কার বদলে টেলিফোনের মার্কা ছাপান। ১১৩ ভোট প্রয়োগের পর বিষয়টি জানাজানি হয় ব্যালটে প্রতীক ভুল আছে। টেবিল ফ্যানের জায়গায় টেলিফোন প্রতীক দেয়া হয়েছে। আর তখনই অশান্ত হয় পরিবেশ। এ সময় উত্তেজিত জনতা সমবায় কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত তলব করে। এমনকি তাকে পাশের বার্থ রুমে প্রায় ২ ঘন্টা আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। এরপরও তিনি ভোট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে পরিবেশ আরও উত্তাপ্ত হলে তিনি নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্যহন।  এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আনারুল গাজী বলেন, নির্বাচন করতে যে প্রত্যেকেরই লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে, এই টাকা কে দেবে?
এ বিষয়ে বর্তমান সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থী দ্বিজেন নাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভুলের উর্ধে কেউনা।পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে।

জানতে চাইলে, সমবায় অফিসার ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা ভুল হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বসাবসির কথা হয়েছে। বসাবসির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও আমাকে জানানো হয়নি। এটা সমবায় বিভাগের কাজ। তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারাই পদক্ষেপ নিবেন। তারপরও যদি আমার এখানে আসেন তাহলে জেনে শুনে কি করা যায় তা দেখা যাবে।