• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

আয় কমার ভয়ে মহাসড়কে বাইক বন্ধ করিয়েছেন বাস মালিকরা


প্রকাশের সময় : জুলাই ৫, ২০২২, ১১:৪৮ অপরাহ্ন / ১৪৭
আয় কমার ভয়ে মহাসড়কে বাইক বন্ধ করিয়েছেন বাস মালিকরা

মোঃ রাসেল সরকারঃ ঈদের আগে ও পরে মহাসড়কে সাতদিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অর্ধশতাধিক বাইকার।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান। আয় কমার ভয়ে মহাসড়কে বাইক বন্ধ করিয়েছেন বাসমালিকরা, এমন অভিযোগও করা হয়েছে এই মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে বাইক চালক আরাফাত হোসেন বলেন, মহাসড়কে একটা বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, আর বাইক চালানো বন্ধ করে দেওয়াটা কোনো সমাধান না। মাথা ব্যথা তাই মাথা কেটে ফেলতে হবে কেন? বরং মহাসড়কে আইনের প্রয়োগ করে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক। কেননা ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া ঝামেলা। এছাড়া যাতায়াতেও কষ্ট। তাই আমরা ঝামেলাবিহীনভাবে বাড়ি ফেরার জন্য মহাসড়কে বাইক চলাচলের অনুমতি চাই।

ফেসবুকে বাইকারদের একটি গ্রুপের অ্যাডমিন মমিন তাজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে বলেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের পেছনে বাস মালিকদের হিংসাত্মক মনোভাব রয়েছে। বাস মালিকদের ঈদে আয় কমে যাওয়ার ভয় থেকেই তারা উপর মহলে চাপ সৃষ্টি করে এই বাইক চলাচল বন্ধ করেছে।

ফখরুদ্দিন মানিক নামে আরেকজন বলেন, মোটরসাইকেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি অপরিহার্য বাহন যা আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও মোটরসাইকেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে করোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মোটরসাইকেল একটি অপরিহার্য বাহন। হেলমেট এবং আনুষঙ্গিক নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করে এবং ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চললে সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত প্রতি ঈদেই লাখো মানুষ পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখী হয়ে থাকে, যদিও আমাদের যোগাযোগ ও সাধারণ পরিবহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে ঈদযাত্রা কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। সেই জন্য অনেকেই নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করে থাকে, তার মাঝে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অধিক।

কিন্তু এই ঈদে লাখো মোটরসাইকেল ব্যাবহারকারী তার পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই আমরা অবিলম্বে বিধিনিষেধটি পুনর্বিবেচনা করে যথার্থ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।