• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

এবার স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে সাইকেলে রওনা দিলেন যশোর বেনাপোলের স্বপ্নবাজ মোকসেদ


প্রকাশের সময় : জুন ২২, ২০২২, ৮:৩৪ অপরাহ্ন / ১১৭
এবার স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে সাইকেলে রওনা দিলেন যশোর বেনাপোলের স্বপ্নবাজ মোকসেদ

খোরশেদ আলমঃ সীমান্ত ঘেঁষা দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল পৌরসভাধীন পোড়াবাড়ি গ্রাম থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু স্বচক্ষে দেখতে বাইসাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন স্বপ্নবাজ মোকসেদ আলী।

মোকসেদ আলী (৫০) নামের এই স্বপ্নবাজ পোড়বাড়ি গ্রামের মৃত পাতলাই সরদারের পুত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙ্গালীর স্বপ্ন ও আবেগের এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে চান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বিশ্বের বুকে আরো একবার মাথা উঁচু করে দেওয়া দৃশ্যমান এই পদ্মা সেতু ছুয়ে দেখতে নিজের ব্যবহারিত পুরাতন বাইসাইকেল নিয়ে তিনি রওনা হয়েছেন।

নিজেদের অর্থে নির্মিত বাঙালির জাতির অহংকার ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যাতায়াতের সু যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সেই পদ্মা সেতু দেখতে, জানা যায় – ২০ই জুন সোমবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে ফজরের নামাজ শেষ করে যাত্রা শুরু করেন স্বপ্নবাজ চির তরুন মোকসেদ। তিনি বাই-সাইকেল যোগে ইতিমধ্যেই নির্ধারিত স্থানের খুব কাছেই অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে বেনাপোলের সুশীল নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফারক হোসেন উজ্জল বলেন, এই সেতু শুধু বেনাপোল বাসীর নয় সমস্ত বাঙ্গালী ও বাংলার অদম্য স্বপ্ন। “পদ্মা বহুমুখী সেতু”  উদ্বোধন কোটি হৃদয়ের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন। এই সেতু উদ্বোধনের প্রতিক্ষায় এমন কোটি কোটি মোকসেদ তার জলন্ত উদাহরণ। আমি বেনাপোলবাসীর পক্ষ থেকে তার সুস্থতা কামনা করছি এবং তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করে সহী-সালামতে ফিরে আসুক সেই কামনা করি।

২২ই জুন বুধবার সকালে মেকসেদ আলীর সহিত মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি আর স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে আছি। তার পুরাতন সাইকেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাইকেল পুরানো হলে কি হবে খুব চলে। পদ্মা সেতু সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি বলেন, আমার বহু দিনের স্বপ্ন আমি সামনে দাড়িয়ে স্বচক্ষে আমার নিজের টাকায় বানানো পদ্মা সেতু দেখবো। প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি মূর্খ-সূর্খ মানুষ তেমন কথা বলতে পারিনে আমি শুধু তাকে দোয়া করি সে আরো অনেক দিন বেঁচে থাকুক একথা বলতে বলতে তার কন্ঠ ভাড়ি হয়ে কথা বলা শেষ করেন।