• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া


প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০২২, ১১:০৬ অপরাহ্ন / ১৫২
নরসিংদীতে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া

রাজিব আহমেদ, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:- বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ্য কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকারের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে নরসিংদী শহরের ঐতিহাসিক সুতাপট্টির মোড়ে আশরাফ হোসেন সরকার এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী শহর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকার। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সাহা, সদর থানা তাঁতী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সদর থানা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন, শহর তাঁতী লীগের আহবায়ক বিজয় সাহা, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বন্যা ভূইয়া, শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান রিপন, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মুরাদ হাসান নিছার, রাসেদ সরকার সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় আশরাফ হোসেন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শাহাদাত বরণ করা সকল শহীদদের প্রতি। সেই সাথে স্বরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শাহাদাত বরণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন এদিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনাসমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ততকালীন সময় তিনি কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে ছিলো বিভিন্ন মহল থেকে। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাবন্দি ছিলেন। আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগার থেকে জরুরি অবস্থার মধ্যেই তার মুক্তির দাবিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক আন্দোলন ও প্রতিবাদ জোরাল হয়ে উঠে। তিনি তার জীবন বাজি রেখে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে মানুষের মুখে দু’বেলা দুমুঠো খাবার এবং এ দেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নত সমৃদ্ধিশালী রাস্ট্রে পরিনত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। আলোচনা শেষে স্থানীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল গাফফার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু মাতা ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণকারী সকল সদস্যদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা, শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও দশের কল্যানে মোনাজাত করা হয়।