• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

নরসিংদীতে পশু খামারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা


প্রকাশের সময় : মে ২১, ২০২২, ৮:২৫ অপরাহ্ন / ১৫২
নরসিংদীতে পশু খামারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা

রাজিব আহমেদ, নরসিংদীঃ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গরু খামারীদের গরু চুরি, ডাকাতি রোধে এক সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছেন নরসিংদী জেলা পুলিশ।

শনিবার (২১ মে) সকাল ১১ টায় রায়পুরা উপজেলার রাজিউদ্দিন আহমেদ অডিটোরিয়ামে অত্র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম (পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রায়পুরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসগর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) আল-আমিন, সহকারী পুলিশ সুপার ( রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ ঘোষ, রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর সাদেক, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান, ওসি ( অপারেশন) আতাউর রহমান, পৌর মেয়র জামাল মোল্লা ও রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসুদ।
স্বাগত বক্তব্যে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর প্রতিমাসে থানায় ১৫/২০টি হচ্ছে। আমি ও আমার থানা সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আপনারা আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। যেকোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাত্ক্ষণিক থানার ডিউটি অফিসার বা আমার সরকারি মোবাইল নম্বরে জানাবেন। আমি সাথে সাথে ব্যবস্হা নিবো। আমার সরকারি নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। পরে সভায় উপস্থিত অতিথিদের মুক্ত আলোচনা করার জন্য বলা হলে খামারি বারেক বলেন, আমার ১৫/২০ টা গরুর ছোট খামার পাশাপাশি ৩টি মুরগির সেট রয়েছে। বর্তমানে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছি। এতে করে খামার পরিচালনা করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকার আমাদেরকে বিনা সুদে ঋণ দিলে আমরা গবাদিপশু প্রজন্নন বৃদ্ধি করতে পারবো। একতা এগো ফার্মের মালিক চরমধুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, আমরা খামারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছি গরু চুরি ও ডাকাতির কারণে।আসন্ন ইদকে সামনে রেখে গরু চুরি ও ডাকাতি আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চুরি, ডাকাতি রোধ করার জন্য পুলিশের নিয়মিত টহল বৃদ্ধি করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নিকট তুলে ধরেন। উপস্থিত খামারী ও ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দদের কথা প্রধান অতিথি মনোযোগ সহকারে শুনেন।
পরে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, রায়পুরা দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা। এ উপজেলায় অনেক জ্ঞানী গুনী ও সুনামধন্য ব্যক্তিদের জন্ম। আমি বিশ্বাস করি আজকে উপস্থিত শ্রোতা ও মঞ্চে উপস্থিত সকলে মিলে চুরি,ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ রোধ করা সম্ভব। তিনি গরুর খামার নিরাপত্তার জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় তাহলে চুরি, ডাকাতি রোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি সিসিটিভির আওতায় আনা গেলেও চুরি ডাকাতি রোধ করা যায়। আপনারা সিসিটিভির ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্হা করুন। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই নৌ-পথে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে। রাতের বেলা মাছ ধরার নৌকা ছাড়া অপ্রয়োজনে কোন নৌকা নৌ-পথে চলবে না। আপনাদের এলাকার চিহ্নিত গরু চোর, ডাকাত ও মাদক সেবনকারী, মাদক বিক্রেতার তালিকা তৈরী করে স্থানীয় পুলিশের কাছে জমা বা তথ্য দিন। ওই তালিকা হবে স্বচ্ছ ও ব্যক্তি আক্রোশবিহীন। মাদক হচ্ছে সকল অপকর্মের মূল উৎস। মাদক বিক্রি বা মাদক সেবনকারীদের রোধ করতে হলে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা। মাদক সামাজিক ও পারিবারিক একটি ব্যাধি। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ।