• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে পাসপোর্ট ছাপানো বন্ধ, সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিরা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৪, ২০২১, ৮:৩৬ অপরাহ্ন / ৬১৫
দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে পাসপোর্ট ছাপানো বন্ধ, সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ (পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা শেষ মধ্যপ্রাচ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারী প্রবাসীদের গ্রেফতারের আশঙ্কা)

গত আড়াই মাসের বেশী সময় ধরে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের সার্ভার সঠিক সময়ে হালনাগাদ না করায় পাসপোর্ট তৈরির কাজ থমকে গেছে। একটি সার্ভারে এই পাসপোর্ট ছাপানো হতো। জুন মাসে পাসপোর্ট অধিদফতরের এই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সার্ভারের (এমআরপি) ধারণ ক্ষমতা তিন কোটির বেশি সীমা পার হয়। এ কারনে পাসপোর্ট প্রিন্ট বন্ধ। ফলে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, ওমান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, লেবাননসহ সারা বিশ্বে কর্মরত প্রবাসীদের অনেকেরই পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আবেদন করে সাড়া পাচ্ছেন না।

পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে ভিসার মেয়াদও বাড়াতে পারছেন না। ফলে তাদের সেই দেশে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আবার পাসপোর্ট না পেয়ে কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করার আবেদনও করতে পারছেন না। কেউ কেউ ছুটিতে দেশে আসতে পারছেন না। রাস্তায় চলাচল থেকে কর্মস্থলেও পড়ছেন ঝামেলায়। উপায়ান্তর না পেয়ে সৌদি আবরে বাংলাদেশ দূতাবাসে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে হাতে লিখে। এই পরিস্থিতিতে একের পর বিভিন্ন দূতাবাস থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রবাসীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে ।

জানা গেছে, বাংলাদেশে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) কাজ পেয়েছিল মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আইরিস করপোরেশন। সেখানে তিন কোটি পাসপোর্টের চুক্তি ছিল। সেই তিন কোটি আঙুলের ছাপ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নতুন করে পাসপোর্ট ছাপা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সার্ভারের ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট সেবা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সেখানকার হাইকমিশন। সংকট সমাধানে পুনরায় আইরিস করপোরেশনের সঙ্গে আরও ৬০ লাখ এমআরপির বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে গত জুন মাস থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবদেশেই পাসপোর্ট সেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নবায়নের জন্য দুতাবাসে জমা দিয়ে দুই-তিন মাসেও তারা পাসপোর্ট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকেই প্রবাসীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।