• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

ভোলায় কথিত মিলন নেতার অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে দিনভর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৫, ২০২১, ৪:৩৮ অপরাহ্ন / ১৪৫
ভোলায় কথিত মিলন নেতার অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে দিনভর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কথিত মিলন নেতার সীমাহীন অপকর্মের অংশ বিশেষ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ও দাউদ ইব্রাহিমকে গতকাল ৪০/০৮/২১ইং রোজ বুধবার সকাল ১১ টার পর তুলে নিয়ে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বর্বরোচিত অমানুষিক নির্যাতন করে। ভোলা থানায় হস্তান্তর করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও নির্যাতনকারী ক্ষমতাসীন নেতার ভয়ে ভোলার সাংবাদিকরা নিরবতা পালন করছেন।
জানাগেছে, সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ও দাউদ ইব্রাহিম একটি সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বুধবার সকালে বাংলাবাজারের দিকে রওয়ানা হয়ে বড় মোল্লা বাড়ি নামক স্থানে পৌঁছলে কথিত মিলন নেতা ও তার ভাই বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের অপহরণ করে কালো গাড়িতে উঠিয়ে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের গাড়িঘাটা পার্কের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথম দফা নির্যাতন চালায় মিলন নেতা ও তার ক্যাডার বাহিনী। সেখান থেকে চোখ বেধে নিয়ে যায় নির্জন চরে। তাদেরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ব্যাপক টর্চার চালায় সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে ফোনে কথা বলে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক স্বপন চেয়ারম্যানের সাথে। তার নির্দেশে ৩০০ টাকার সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। সেখানেও আরেক দফা নির্যাতন চালায় স্বন চেয়ারম্যান। জানা যায়, অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে দুই সাংবাদিক পরিহিত প্যান্টের মধ্যেই পায়খানা করে দেয়। প্যান্টে পায়খানা করে দিলে তাদেরকে খালের মধ্যে চুবিয়ে আরেক দফা নির্যাতন করা হয়।
পরে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ভোলা থানার পুলিশ এনে তাদেরকে সোপর্দ করে। নির্যাতনের শিকার অসুস্থ দুই সাংবাদিককে থানায় কোন প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে হাজত খানায় ফেল্র রাখা হয়। বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে তাদেরকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ও দাউদ ইব্রাহীমের উপর মিলন নেতা ও তার দুই ভাই স্বপন চেয়ারম্যান ও বাচ্চু কর্তৃক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে সারাদেশে। অবিলম্বে দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাংবাদিক সমাজ।
অপরদিকে এঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে, কথিত মিলন নেতা কর্তৃক প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী অনেকেই সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করছেন।