• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

এবার সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে গণপরিবহন


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২, ২০২১, ১০:৪৭ অপরাহ্ন / ১৭৭
এবার সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে গণপরিবহন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের ভিত্তিতে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। তবে আগের মতো কঠোর হবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে।
এই শিথিলতার মধ্যে গণপরিবহন থাকবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল অনেক বেশি। কারণ এমনিতেই অনেক দিন ধরে কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
শর্ত শিথিলের মধ্যে গণপরিবহন চলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, চলমান বিধিনিষেধ শেষ হলে নতুন করে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে তাতে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে।
এরআগে বলা হয়, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এদিকে সরকার কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (০১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেওয়ায় ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু‌ মহাসড়‌কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।