• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

মানুষে ঠাসা লঞ্চের ডেক, ভাড়া দ্বিগুণ : প্রশাসন নীরব


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৭, ২০২১, ১০:১০ অপরাহ্ন / ২০৪
মানুষে ঠাসা লঞ্চের ডেক, ভাড়া দ্বিগুণ : প্রশাসন নীরব

এম শিমুল খানঃ করোনা সংক্রমণের শঙ্কা নিয়েই বাড়ির পানে ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে, সদরঘাট থেকে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করে ছেড়ে যায় প্রতিটি লঞ্চ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চের ডেকে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর বিনিময়ে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার কথা। কিন্তু ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিন সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেকটি লঞ্চের ডেকের দৃশ্য ছিল ভয়ানক।

মানুষে ঠাসা ছিল প্রত্যেকটি লঞ্চের ডেক। যেখানে মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই ছিল না। যাত্রীদের অভিযোগ, ডেকে প্রত্যেক যাত্রীর দুই পাশে ৩ ফুট করে ফাঁকা রাখতে ছিল না প্রশাসনের কোনো তৎপরতাও।
যাত্রীরা বলেন, সবাই তো বাড়িতে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। তারা ভাড়া বেশি নিচ্ছেন, কিন্তু আমাদের যে ফাঁকা ফাঁকা জায়গা দেওয়ার কথা তা দিচ্ছেন না।
শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাটে ভিড় বাড়ে আরও কয়েকগুণ। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৪২টি নৌ রুটের সব লঞ্চই ছাড়ে যাত্রী বোঝাই করে।
একই দিন সকাল থেকেই রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। বাড়তি ভাড়ার কারণে এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটতে দেখা যায় অনেককে। সেখানেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। অনেক ক্ষেত্রে মানা হয়নি এক সিট ফাঁকা রাখার নির্দেশনাও। নিয়ম থাকলেও জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা যায়নি বাসে।
ঘরমুখী যাত্রীরা বলেন, যত ঝুঁকিই থাকুক বাসাতে তো যেতে হবেই। কারণ আগের একটা ঈদ করতে পারিনি। সবাই তাড়াহুড়া করছে যেন আমারটা আগে হয়। এজন্য স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় কাজ করছে না।
তবে ভিন্ন চিত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেলে। কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের বাহিরে ও ভেতরে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। যাত্রীরা বলেন, যেরকম শুনে এসেছি, সেরকমই। এক সিট ফাঁকা রেখেই বসলাম। অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালোভাবেই ঢোকা গেছে।
ঈদযাত্রায় সামনের দুই তিনদিন সব গণপরিবহনে আরও যাত্রীচাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।