• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশের সময় : মার্চ ১, ২০২৩, ৬:২৬ অপরাহ্ন / ৬৮
মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুরঃ জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার থেকে রায়পুর হয়ে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বুধবার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীর ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময় আইন অমান্য কারীদের জরিমনা ও দুই বছরের জেল এবং উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

হায়দরগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী ইউসুফ বলেন, উপজেলার বড় মাছের পাইকারি বাজার হায়দরগঞ্জ, মোল্লারহাট বাজার ও খাসেরহাট বাজারসহ সকল মাছঘাট এলাকার বরফ কলের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না রেখেই প্রশাসন সব বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিয়েছেন। আমরা স্থানীয় ভাবে পুকুরের চাষ করা মাছ কোথায় রাখবো। ব্যবসা বন্ধ রাখলে পরিবার-স্বজন নিয়ে কষ্ট করতে হবে। আমরা বিকল্প ব্যাবস্থা চাই।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথ ভাবে প্রয়োগ হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। গেল বছর ২৪ হাজার মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়। জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীর আলেকজান্ডার ও রায়পুর থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার।

এ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বরফ কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলার কার্ডধারী ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলেকে ৪০ কেজি হারে ৪ মাস ১৬০ কেজি (ভিজিএফ চাল) খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। ৪ হাজার ৫৩৫ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দও পাওয়ার কথা জানায় মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যা মোট জেলে তুলনায় রায়পুরসহ পুরো জেলায় অপর্যাপ্ত।

এদিকে সদর উপজেলার আংশিক, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। বেসরকারি হিসেবে উপকূলীয় এ সব এলাকার প্রায় ৬৫ হাজার জেলে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে সরকারি হিসেবে এর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৪৯ জন।

অন্যদিকে, ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ ২ মাস নদীতে না যাওয়ার কথা জানালেন রায়পুরের নাইয়াপারার জেলেরা। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের মধ্যে সরকারের নিকট খাদ্য ও পুনর্বাসন সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক বলেন, জেলেদের মাছ শিকারে বিরত রাখতে নদীতে কোস্ট গার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই আইন অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয়দন্ডে বিধান রয়েছে। বরফকল বন্ধে বিকল্প ব্যাবস্থার বিষয়ে ইউএনও ভালো বলতে পারবেন।