• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না


প্রকাশের সময় : জুলাই ৮, ২০২১, ৬:৩৮ অপরাহ্ন / ১৮১
সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাংবাদিক ফেলোশিপ পেয়েছেন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না। তার সঙ্গে আরো তিনজন গণমাধ্যমকর্মী এই ফেলোশিপ পেয়েছেন। তারা হলেন মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), ডলার মেহেদী (৭১ টিভি) ও মো. আখতারুজ্জামান (আমাদের অর্থনীতি)।

৭ জুলাই এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চারজন গণমাধ্যম কর্মীর নাম ঘোষণা করা হয়। ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ফেলোশিপের বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরষ্কার প্রদানের ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফেলোশিপের উপর বিশেষ প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চার গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীগণও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না দুই দশকের সাংবাদিকতার ক‍্যারিয়ারে এর আগেও দুইবার ফেলোশিপ লাভ করেন। এটি তাঁর তৃতীয় ফেলোশিপ। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না বলেন, সাংবাদিকতা আমার ধ‍্যান জ্ঞান। এই পেশাকে অত‍্যন্ত সম্মান জানাই। একজন নারী যখন সাংবাদিক হয়ে উঠেন তখন তার পেছনে থাকে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা। সমাজের বাঁকা চোখকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একজন সাংবাদিককে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে হয়। প্রতিটি সাংবাদিকের জন‍্য ফেলোশিপ একটি অনন্য অর্জন, যা কাজের পরিসরকে আরো দায়িত্বশীল করে তুলে।
প্রসঙ্গত, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ব্যক্তিগত জীবনে এক সন্তানের (জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি) জননী। তিনি ১৯৯৯ সালে এসএসসি, ২০০২ সালে এইচএসসি, ২০০২-২০০৩ ব্যাচে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স, ২০০৬-২০০৭ ব্যাচে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন্। এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালে রূপনগর ল কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার প্রকাশিত গ্রন্থ ৭টি।
২০১৭ সালে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক কাব্যসাহিত্যে সুকুমার রায় সাহিত্য পদক লাভ করেন। এ বছর তাঁকে ছড়া সাহিত্যে জোত‍্যি হক ছড়া পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়াও তিনি ২০২০ সালে জয়িতা পুরস্কার অর্জন করেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে একাধিকবার সাহিত্য সম্মাননা লাভ করেন। গত ৬ নভেম্বর ২০২০ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা “চেতনার ঈশ্বর বঙ্গবন্ধু ” শিরোনামে একটি প্রবন্ধের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন।
রাজনৈতিকভাবেও তাঁর রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের হয়ে তিনি কাজ করেছেন। কাজ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কর্মী হিসাবে। বর্তমানে তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।দীর্ঘ দুই দশক ধরে জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য পত্রিকায় যোগ্যতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক মানবকণ্ঠ ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন।
পেশাগত কাজের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০১৮ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টারদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য।