• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক নেতার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে গুলশান থানা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে অবস্থান কর্মসূচি


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ৬:০৮ অপরাহ্ন / ৮০
সাংবাদিক নেতার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে গুলশান থানা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে অবস্থান কর্মসূচি

বিশেষ প্রতিনিধি,ঢাকাঃ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামসহ ৭ সাংবাদিকের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় গুলশান থানা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিক সমাজ অবস্থান নিবেন বলে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রবিবার বেলা ১২ টায় জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট, জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চ, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকায় ডিইউজে’র কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামসহ ৭ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর সিনিয়র সহ সভাপতি ও জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবু’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা লায়েকুজ্জামান, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক খান, ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, সাংবাদিক নেতা গোলাম মুজতবা ধ্রুব ,প্রচার সম্পাদক রানা হামিদ, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, ডিইউজে’র আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী, সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান মিয়া, শফিকুল ইসলাম, সালমান মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা শাহজাহান সাজু, জুয়েল হালদার, আব্দুল মজিদ, বেলায়েত হোসেন, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুলশান থানায় মামলা করতে গেলেও আতিকুল ইসলামের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন থানার ওসি। তিনি মামলা গ্রহণ না করে উল্টো হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। পরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে মামলা গ্রহণ করলেও অদ্যাবধি আসামীদের গ্রেফতারে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। উল্টো সাংবাদিকদের নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং পুলিশের ভূমিকা একটি গভীর ষড়যন্ত্র। যা সাংবাদিক সমাজের সাথে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা। এই অপচেষ্টা রোধে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনার দিনই সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বিবৃতি দেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পুলিশ প্রশাসন তা আমলে না নেওয়ায় সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষসহ ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য আতিকুল ইসলাম ও তার গুরুতর অসুস্থ্য মাকে দেখতে গুলশানের নর্দ্দা এলাকায় বাসায় দেখতে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়। বর্তমানে সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।