• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে জলমহালের অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রতারনার প্রতিবাদে ধর্মপাশায় সাংবাদিক সম্মেলণ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৭, ২০২৩, ১০:২৩ অপরাহ্ন / ৪৯
সুনামগঞ্জে জলমহালের অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রতারনার প্রতিবাদে ধর্মপাশায় সাংবাদিক সম্মেলণ

নিজস্ব প্রতিবেদক,মধ্যনগর,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কালিজানা গ্রুপ জলমহালের মালিকানা নিয়ে এক অংশীদারের সাথে অন্যান্য অংশীদাররা প্রতারনার পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলণ অনুষ্টিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভূক্তভোগী হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন ওই জলমহালের অপর অংশীদার জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুন শওকতসহ অন্যান্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলণে হামিদুল ইসলাম মিলন তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উপজেলার কালিজানা গ্রুপ জলমহালটি গত ১৪২৯ বাংলা সন হইতে ১৪৩৪ বাংলা সন পর্যন্ত বাৎসরিক ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা খাজনায় ৬ বছরের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইজারাপ্রাপ্ত হয় জলমহাল সংলগ্ন ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি মৎস্যজীবী সংগঠন। কিন্তু ওই মৎস্যজীবী সংগঠনটি আর্থিকভাবে সংকটে থাকায় ওই জল মহালটির রক্ষণা-বেক্ষণ করতে সমস্যা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সমিতির সভাপতি ও ওই জলমহালের ইজারাদার মো. বেনু মিয়া জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওখত, হামিদুল ইসলাম মিলন ও সোহেল মিয়া নামে ৩ জনকে জলমহালটি ইজারাদার হিসেবে অংশীদার করেন। সে মোতাবেক তারা সুনামগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ওই জলমহালের অংশীদারিত্বের একটি চুক্তিপত্রও করেন। আর চুক্তিপত্র মোতাবেক হামিদুল ইসলাম চৌধুরী নগদ ৩০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৭৫ টাকা দিয়ে তিনি ওই জলমহাটির ৫ আনার অংশীদার হন। কিন্তু তিনি জলমহালটির অংশীদার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তাকে অপর অংশীদার জেলা যুবদল সভাপতি আবুল মনসুন শওখত ওই জলমহালটির আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। এমনকি হিসাব চাইতে গেলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওখত উল্টো হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার সারা জীবনের উপার্জন সব দিয়ে ওই জলমহালটিতে অংশীদার হয়েছি। এখন জেলা যুবদলের সভাপতি আমাকে ওই জলমহালের অংশীদারিত্ব থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি তাঁর অনুসারী স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দিয়েও আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়াচ্ছেন।

হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন বলেন, আমি এলাকার একজন নিরীহ ব্যবসায়ী। আর আবুল মনসুর শওখত জেলার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার ভয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তাই আমি আজ এ সাংবাদিক সম্মেলণের মাধ্যমে আমার নিরাপত্তাসহ জলমহালের অংশীদারিত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওখতের ব্যবহৃত ০১৭১২-২৩১৭৯৩ নাম্বার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভার না করায় তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জলমহালের বিষয়ে আদালতে গিয়ে মামলা করাই ভাল। তবে আমার কাছে এ ধরনের কোনো আসেনি।