• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

সম্পত্তির ভাগ চাইতে গিয়ে নাটকীয়ভাবে পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২২, ১:০৩ অপরাহ্ন / ৩৮১
সম্পত্তির ভাগ চাইতে গিয়ে নাটকীয়ভাবে পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীতে এক সার্জেন্টেকে হেনস্থা ও রাজশাহী থেকে বিতাড়িত করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । স্ত্রী’র সম্পত্তির ভাগ চাইতে গিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র ও হেনস্তা শিকার রাজশাহীতে কর্মরত মহানগর পুলিশের সার্জেন্ট “মাহমুদ রানা”। তিনি মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে প্রসিকিউশন ইনচার্জ এর দায়িত্বে রয়েছেন।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে, প্রায় ২৮ বছর আগে নানা শশুর মারা যাওয়ার পরেও একমাত্র বোন সেলিনা বেগমের সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে আত্নসাৎ এর চেষ্টায় জবর দখল করে রাখেন সেলিনার ছোট ভাই আলাল পারভেজ লুলু। লুলু টিকাপাড়ার জমসেদ আলী জুম্মনের ছেলে। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বোয়ালিয়া থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বড়বোন সেলিনা মারা গেলেও সেলিনার ওয়ারিশ তিন মেয়েকে সেই সম্পত্তির ভাগ দেওয়া হয়নি। এই সম্পত্তির ভাগ নিয়ে কথা বলতে গেলে সার্জেন্ট মাহমুদ রানার সাথে অশালীন ব্যবহার ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় তার মামা শশুর লুলু। এছাড়াও পরিকল্পিতভাবে আমার মামা শশুরের বাড়ির কাজের মেয়ে সাজেদা (৪৫) কে দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগ সার্জেন্ট রানার পরিবারের।
বিষয়টি নিয়ে মহানগর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন ইনচার্জ সার্জেন্ট মাহমুদ রানার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার মামা শশুরের বাড়ির কাজের মেয়েকে আমার বাসায়
পাঠানো হয়। আমার বাড়িতে কাজের লোক থাকলেও সাজেদা আগের কাজের মেয়ের থেকে এক হাজার টাকা কমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আমি ও আমার স্ত্রী সহজ মনে ঐ মেয়েকে কাজ করার অনুমতি দেয়। অর্থাৎ ২২ সালের জানুয়ারি ১ কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য – রাজশাহীতে পুলিশের আইজিপি মহোদয় আসার কারনে আমি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তাই ঐ কাজের মেয়ের সাথে দেখা তো দুরের কথা, সরাসরি কথা বলতেও পারিনি। আমার স্ত্রীর সাথেই কথা হয়। পরে জানুয়ারির ৩ তারিখে আমার বাসা থেকে স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল ও সাড়ে তিন হাজার টাকা হারিয়ে যায়। যা এর আগে কখনো ঘটেনি। কাজের মেয়ে সাজেদাকে, হারানো জিনিস দেখেছে কি জানতে চাইলে তিনি উল্টো বাজে আচরন করে বাসা থেকে চলে যায়। এরপর সাজেদা আর ফোন ধরেনা। পরে আমি ৬ জানুয়ারি বাধ্য হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। এই ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে আমার মামা শশুর (লুলু) ৭ জানুয়ারি ঐ কাজের মহিলাকে দিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় পাল্টা লিখিত অভিযোগ করায় এবং মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করান। যা খুবই নিন্দনীয়। আমার পরিবারসহ সকলের বুঝতে বাঁকি নাই যে আমার মামা শশুর সম্পত্তির ভাগ না দিতে এত নাটক করছে। তবে নাটক করে কোন লাভ হবেনা। এতিমদের সম্পত্তির ভাগ তাকে দিতে হবে। আর আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করছে তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
পরে আলাল পারভেজ লুলুর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ঐ সার্জেন্টের সাথে আমার জমি বা সম্পত্তি নিয়ে কোন বিরোধ নাই। আর কাজের মেয়ের বিষয়ে আমার জানা নাই। পরে তিনি তার চেম্বারে প্রতিবেদককে অমন্ত্রণ করেন। এরপর অভিযোগকারি ঐ মহিলার সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
তবে এবিষয়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, সার্জেন্ট মাহমুদ রানার বাসায় চুরি হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।