• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

রুপালীর বহুবিবাহই যেন প্রতারণার নেশা


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৭, ২০২৩, ১০:৫৪ অপরাহ্ন / ৭৩
রুপালীর বহুবিবাহই যেন প্রতারণার নেশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরঃ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের দঃ নারায়ঞ্জন এলাকায় বসবাসরত মোঃ মোশারফ হোসনের মেয়ে রুপালীর বহু বিবাহই যেন প্রতারণার নেশা। গত ২৩ বছরে করেছেন ৫ বিয়ে। রুপালী পঞ্চম স্বামী নিয়ে সংসার করলেও তার দেওয়া মিথ্যা মামলায় কারাবাস করছেন তৃতীয় স্বামী আলী।

আলীর বর্তমান স্ত্রী শ্যামলী খাতুন অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী আলীর সাথে (সাবকে স্ত্রী) রুপালীর ০৭/১০/২০১২ইং তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। যাহা গত ২৩/০৭/২০২০ইং তারখি রুপালী র্কতৃক মামলার ধারাবাহিকতায় ২১/০৯/২০২০ইং খোলা তালাকের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ও সরকারি বিধি মোতাবেক তালাক প্রাপ্ত হয়।

তথ্য অনুসন্ধান কালে রুপালীর প্রথম স্বামী মজিদুল ইসলাম বলেন, রুপালীর সাথে আমার দুই বছরের মতো সংসার হয় । হঠাৎ নাইয়োরের উদ্দেশ্যে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে গেলে আর আমার সংসার করবে না মর্মে আমাকে জানায়। কারন বিহীন আমার সংসার না করার সিদ্ধান্তে আমি পারিবারিক ভাবে আলোচনা করে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে তৎসময়ে ১৫০০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কাজী অফিসের তালাক সম্পন্ন করতে বাধ্য হই।

দ্বিতীয় স্বামী আনিছুর রহমান বলেন- আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমার র্সবস্ব ধ্বংস করে সংসার ভেঙ্গে চলে যায়, সে ধাক্কা আমি এখন সামলে উঠতে পারি নাই।

তৃতীয় স্বামী কারাবন্দী আলীর সাথে কারাগারে স্বাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, রুপালীর সাথে বিয়ের পর সামান্য বিষয়ে হরহামেসাই ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হতো। এমন ঘটনায় আমি খুব চিন্তিত ছিলাম এবং পরে বুঝতে পারি আমার স্ত্রী(রুপালী) পর-পুরুষে আসক্ত। এরই ধারাবাহিকতায় রুপালী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। অতঃপর আইন অনুযায়ী আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় । তালাকের মাধ্যমে সমস্ত আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হয় । কিন্তু তারপরেও আমাকে মামলা দিয়ে আজবধি হয়রানি করে যাচ্ছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

চতুর্থ স্বামী মোখলেছুর রহমান বলনে, এই মহিলা (রুপালী) পর-পুরুষ ছাড়া কিছুই বোঝে না। সামাজিক ভাবে মানুষকে মানহানি করে ও কৌশলে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ।

পঞ্চম স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, পূর্বের চারটি স্বামীর কথা আমার জানা ছিল না। আমি শিক্ষক মানুষ, অতো খোঁজ খবর নিতে পারি নাই । আমার সরল মনে ধোকা দিয়ে আমাকে সে বিয়ে করেছে । কন্তিু মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছিনা।

আলীর র্বতমান স্ত্রী শ্যামলী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর সাথে আইনানুক ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এবং মোহর বাবদ ১০০১০৯/-(এক লক্ষ এক শত নয় টাকা) স্বাক্ষীগনের সামনে সর্ম্পূণ টাকা আইনানুক ভাবে প্রদান করা হয়। যাহার সমস্ত কাগজ পত্রাদি আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু রুপালী বেগম (সাবেক স্ত্রী) মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হেনস্থা করছে। মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে অতিরিক্ত ১০০০০০/-(এক লক্ষ) টাকা নিয়েও মামলা তুলে নেয়নি। এমতাবস্থায় আমার স্বামী আদলতের আদেশে কারাগারে। আমি বিষয়টি পুনঃ তদন্তের ভিত্তিতে ন্যায় বিচার চাই।