• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন

যশোরের বেনাপোলে টাস্কফোর্সের অভিযান “বন্ধন এক্সপ্রেস” এ কমে এসেছে চোরাচালান


প্রকাশের সময় : জুন ১, ২০২৩, ৯:৫৩ অপরাহ্ন / ১৭৩
যশোরের বেনাপোলে টাস্কফোর্সের অভিযান “বন্ধন এক্সপ্রেস” এ কমে এসেছে চোরাচালান

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোরঃ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র যাত্রীবাহী চলাচলকারী ট্রেন “বন্ধন এক্সপ্রেস” এ অনেকাংশে কমে এসেছে চোরাচালান। সপ্তাহে দুইবার চলাচলকারী ট্রেনটি বৃহস্পতিবার সকালে, কোলকাতা হতে ২ শত ৮০ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছলে, আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকা পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ এর সমন্বয়ে গঠিত “টাস্কফোর্স” বাহিনী।

কাস্টম এবং ইমিগ্রেশনের কার্যকারীতা শেষ করতে পাসপোর্ট যাত্রীদেরকে সেখানে অবস্থিত কাস্টম-ইমিগ্রেশন কেন্দ্রে প্রবেশে সহায়তা প্রদান করে।

এদিন স্টেশন এলাকায় বহিরাগত ঠেকাতে এবং চোরাচালান রোধে শার্শা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী আদেশে গঠিত “টাস্কফোর্স” নেতৃত্বে ছিলেন, শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল এবং উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা অফিসার- ফারজানা ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি)। এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া, আনসার ও ভিডিপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রাসেল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং উক্ত টাস্কফোর্সে দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য সদস্যরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের এই অভিযানে ০২ বোতল বিদেশী মদ সহ ০১জন পাসপোর্ট যাত্রীকে এবং ০১জন বহিরাগতকে গ্রেফতার করা হয়। ঈদ পরবর্তী “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনটিতে “টাস্কফোর্স”এর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে, নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই জানি, ভারতের কিছু ব্যবহারিক পণ্য সামগ্রী, যার উপর কিছু মানুষের চাহিদা রয়েছে, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সেদেশের পণ্যের মাণের তুলনায়, তুলনামূলক বাংলাদেশের পণ্য অনেক ভাল এবং আন্তর্জাতিক মানের। সকল প্রকার পণ্য তৈরীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যে সকল ব্যবহারিক পণ্য তৈরী হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মাণের এবং তার গুণগত মাণও ভাল, সেসকল পণ্যের অনেকটাই এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, তবে কেন? আমরা দেশীয় পণ্য ছেড়ে বিদেশী পণ্য ব্যবহারে মনোযোগী হবো?

এছাড়াও অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশীয় পণ্য বিক্রয় হলে দেশের মিল-কলকারখানা গুলো সচল থাকবে, কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা হবে,দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, ব্যবসায়ে সফল হবে ব্যবসায়ীরা। ফলে, দেশকে আমরা উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো। সরকারের এমন মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে “টাস্কফোর্স” এর এমন অভিযান বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনা রুটে ৪৫৬ আসনের আন্তর্জাতিক মানের যাত্রিবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনটির কেবিনে সিট ভাড়া দেড় হাজার টাকা ও চেয়ার কোচের ভাড়া এক হাজার টাকা (ভ্রমণকর ৫০০ টাকাসহ) নির্ধারণ করা হয়। “বন্ধন এক্সপ্রেস” চালুর পর থেকে যাত্রীরা সরাসরি খুলনা-কলকাতা যাতায়াত করছে। বেনাপোলে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে। আবার বিকেলে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে অবৈধ মালামাল পারাপার, চোরাচালানী রোধ এবং যাত্রী যাতায়াতের সুবিধার্থে কঠোর নিরাপত্তা অবলম্বণ করা হয়ে থাকে।