• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহের ত্রিশালে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তরা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৭, ২০২১, ১:২০ অপরাহ্ন / ১৭০
ময়মনসিংহের ত্রিশালে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তরা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৎস্য ব্যবসায়ি মোশারফ হোসেন। নিজগ্রামেই তিনি গড়ে তোলেছেন সুমন ফিসারিজ নামে একটি মৎস্য খামার। ব্যবসার পরিধি প্রসারিত করতে উত্তরা ব্যাংক ত্রিশাল শাখায় একটি একাউন্ট খুলেন। লেনদেন কার্যক্রমের সূত্রে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভোক্তভোগি ওই গ্রাহক। মৎস্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন ত্রিশাল উপজেলার ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িদের মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন ও বিনিয়োগের সুবিধা দিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পাশাপাশি সোনালী, রুপালি, পুবালী ও অগ্রণী ব্যাংকসহ অনেকগুলো শাখা রয়েছে ত্রিশালে। সম্প্রতি ত্রিশাল পৌর মার্কেট সংলগ্ন উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডও তাদের শাখা উদ্বোধন করেছে। বিনিয়োগের নানা প্রতিশ্রুতি ও বিভিন্ন সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহক করা কৌশলগত পন্থালম্বন দোষের কিছু না থাকলেও প্রায় দেড় কোটি টাকা লেনদেনকারী মৎস্য ব্যবসায়ি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে সু-সম্পর্ক তৈরি করে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উত্তরা ব্যাংক ত্রিশাল শাখা ব্যবস্থাপক বুলবুল আহাম্মদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক দফা দেন-দরবার করেও টাকা ফেরত না পেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভোক্তভোগি মোশারফ। জানা যায়, সুমন ফিসারিজের স্বত্বাধিকারী উপজেলার বইলর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ি মোশারফ হোসেনের ব্যাংকিং লেনদেন ছিল ইসলামী ব্যাংক ত্রিশাল শাখায়। মোশারফকে উত্তরা ব্যাংক ত্রিশাল শাখা ব্যবস্থাপক বুলবুল আহাম্মদ বিনিয়োগের নানা প্রতিশ্রুতি ও বিভিন্ন সুবিধার প্রলোভন দেখালে, তিনি ওই ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলেন। প্রায় দেড় কোটি টাকা লেনদেনের ফাঁকে ব্যাংক ব্যবস্থাপক বুলবুল আহাম্মদ নিজেকে আস্থাভাজন হিসেবে মোশারফের মনে জায়গা করে নেয়। বিনিয়োগ করা যাবে কি-না, এমন অজুহাতে ব্যাংক ব্যবস্থাপক বুলবুল আহাম্মদ যেতেন মোশারফের ফিসারি ও গোডাউনে। হটাৎ একদিন পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মোশারফের কাছে ৫ লাখ টাকা ধার চান উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার বুলবুল। মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার আশায় ম্যানেজার বুলবুলকে ওই টাকা ধার দেন মোশারফ। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও বিনিয়োগ তো দুরের কথা, পাওনা টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না ভোক্তভোগি মোশারফ। স্থানীয় দরবারে উপস্থিত হয়ে উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার ওই ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা ফেরত না পেয়ে আদালতে মামলা করেন মোশারফ হোসেন।মৎস্য ব্যবসায়ি মোশারফের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন বইলর এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ওই ব্যাংক কর্মকর্তা স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে যোগ্য নয়, এমন ব্যক্তিকেও দিয়েছেন বিনিয়োগ। ভোক্তভোগি মোশারফ হোসেন জানান, পারিবারিক সমস্যার কথা বলে কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার বুলবুল। মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার আশায় তাকে ওই টাকা ধার দিয়েছিলাম। টাকা ধার নেয়া এবং তা পরিশোধের বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ডও রয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে এক দরবারে উপস্থিত হয়েও তিনি ওই টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অনেকদিন অতিবাহিত হলেও বিনিয়োগ তো দুরের কথা, পাওনা টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। অবশেষে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। টাকা ধার নেয়া এবং তা পরিশোধের বিষয়ে ভোক্তভোগি গ্রাহকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ড ও আদালতে মামলার সম্পর্কে উত্তরা ব্যাংক ত্রিশাল শাখার ব্যবস্থাপক বুলবুল হোসাইন টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আদালতে মোবাইল ফোনের রেকর্ড গ্রহনযোগ্য নয়। তাছাড়া আমি যদি মোশারফের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিতাম, তবে তো উনি অবশ্যই আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতেন।