• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় মেয়রসহ আসামী ৬০২


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২০, ২০২১, ৪:১৯ অপরাহ্ন / ৪২২
বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় মেয়রসহ আসামী ৬০২

নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশালঃ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পৃথক মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দুটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম। উভয় মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন।

ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সাধারণ মানুষকে মারধর, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের অপরাধে কোতোয়ালি থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে উপজেলা কম্পাউন্ডে শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছিল। এ বিষয়ে বারণ করায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালান।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, আতিকুল্লাহ মুনিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত, রইজ আহম্মেদ মান্না, বিসিসি মেয়রের পিএস সুমন সেরনিয়াবাত, মনির সরদার, ফাইজুল সেরনিয়াবাত, বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, ২৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জগলুল মোর্শেদ প্রিন্সসহ নামধারী ২৮ জন।
এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি নূরুল ইসলাম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মামলার ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।