• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

বরিশালের বাকেরগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু


প্রকাশের সময় : জুলাই ৪, ২০২২, ৫:২৯ অপরাহ্ন / ১১৯
বরিশালের বাকেরগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

মো. রাব্বী মোল্লা, বাকেরগঞ্জ,বরিশালঃ বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীকে চিকিৎসা না দেয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গত (৪জুলাই ২০২২ইং) ভোর ৬টায় স্থানীয় পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল সত্তার শিকদারের স্ত্রী মোসাঃ রেমী বেগম (৫০) কে চামটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন এবং রোগী নিয়ে ক্লিনিকের সামনে প্রায় ২ঘন্টা দারিয়ে থেকেও রোগীর চিকিৎসা দিতে না পারায় রোগীর মৃত্যু হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মোঃ হানিফ সিকদার, মোঃ মনির হোসেন সিকদার (মনির মাস্টার) সাংবাদিকদের জানান, আমার ফুফু রেমী বেগম রাত ৩ টায় ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। তার চিকিৎসার জন্য আামরা সকাল ৬ টায় আমাদের স্থানীয় চামটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসি, অথচ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান গেট তালা দেয়া থাকে অনেক ডাকাডাকি করেও ডাক্তারের দেখা মেলেনি।

চামটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব রত চিকিৎসক ডাঃ প্রশান্ত ডাকুয়া দোতলা থেকে জানায় এসে বলেন আমি সকাল ১০ টার আগে চিকিৎসা দিতে পারব না। দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে রোগীর চিকিৎসা না করাতে পেরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসার অবহেলায় আমাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই ডাঃ প্রশান্ত ডাকুয়ার সঠিক বিচার চাই।

নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রায় ২ বছর যাবত ডাঃ প্রশান্ত ডাকুয়া ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আমার পরিষদে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। ইউনিয়ন বাসির সুচিকিৎসার জন্য ডাঃ প্রশান্ত ডাকুয়া কে বদলি করে অন্য একজন ভালো চিকিৎসক দেয়ার দাবি রাখেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ডাঃ প্রশান্ত ডাকুয়া ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। প্রত্যেকটা ক্লিনিকে স্যাকমো দ্বারা চিকিৎসা দেয়া হয়। উপজেলার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও তারা কখনও ক্লিনিকে আসেন না। স্যাকমো দিয়েই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা রোগীদের হয়রানি ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত ।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শংকর কুমার অধিকারি জানান, উপজেলার ক্লিনিকগুলোর দেখার দায়িত্ব মোঃ ইউনুস আলী পিন্টুকে দিয়েছি। চামটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর চিকিৎসা না দেয়ায় মৃত্যুর ঘটনায় পিন্টুকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ওই ক্লিনিকে একজন মেডিকেল অফিসার দেয়া হবে।