• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ 


প্রকাশের সময় : জুন ৩০, ২০২২, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন / ১৮৪
বঙ্গবন্ধুর সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ 

শেখ শিবলী রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মহানগরীতে গরীব দুস্থ্য ও অসহায়দের মাঝে ডাঃ আনিকা ফারিহা জামান অর্ণার পক্ষ থেকে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, ডাঃ আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃসিরাজুম মুবিন সবুজ ও সার্বিক সহযোগিতায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের, সাধারণ সম্পাদক মোঃনাইমুল হাসান (নাঈম) সহ কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের।

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হেনার ৯৯তম জন্মশতবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কজন ক্ষণজন্মা মানুষ, স্বীয় প্রতিভা ও কর্মগুণে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং বাঙালি জাতিকে তার আসন পাকাপোক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর সহচরী অন্যতম শহীদ জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা (১৯২৩-১৯৭৫) স্মরণীয়।

১৯৭১ সালেমহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার তত্কালীন নাটোর মহকুমার বাগাতিপাড়া থানার মালঞ্চী রেলস্টেশন-সংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মাতুলালয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস ছিল রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জ মহল্লায়। কামারুজ্জামানের পিতা আবদুল হামিদ মিয়া ছিলেন একজন রাজনীতিক ও সমাজসেবক। তিনি রাজশাহীতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এবং পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ছিলেন।

পিতা আবদুল হামিদ মিয়া ও মাতা জেবুন নেসার ১২টি ছেলেমেয়ের মধ্যে কামারুজ্জামান ছিলেন প্রথম সন্তান। কামারুজ্জামান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক ও কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল পাশ করেন। পারিবারিকভাবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন।

জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঃ নবগঠিত মুজিবনগর সরকারে কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে পুনর্গঠিত সরকারে তিনি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করলে তিনি বাকশালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে গ্রেফতার ও কারাবন্দি করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাভ্যন্তরে এএইচএম কামারুজ্জামান হেনাসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।