• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর কমলাপুরে বেতন বিহীন প্রধান শিক্ষকের একি  কান্ড!


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২১, ৫:১৪ অপরাহ্ন / ১৭০
পটুয়াখালীর কমলাপুরে বেতন বিহীন প্রধান শিক্ষকের একি  কান্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন কমলাপুর ইউনিয়নে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য ধরান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মিয়া ওরফে আদম আলী মিয়া অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি নিজের হাতে প্রতিষ্ঠানের গাছ রোপণ করেছিলেন। ৪ মাস আগে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শহিদুল ইসলাম কে। তার সনদে গরমিল থাকার কারণে এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর পরই প্রতিষ্ঠান এর অর্থ লুটপাট সহ নিয়োগ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে স্কুলের জমি দাতা সদস্য শাহাআলম মিয়া জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস, এমপি মহোদয় এবং এসপি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান “আমি নিজে একজন দাতা সদস্য। আমার কাছে গাছ কাটার ব্যাপারে কোন কিছু জানানো হয়নি। গাছ কাটার ব্যাপারে যখন আমি অভিযোগ দায়ের করেছি এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিষয়টি মিথ্যা প্রমান করার জন্য বেতন বিহীন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম উঠে পড়ে লেগেছে।” জানা যায় জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম গাছ কাটার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার গাছ কাটার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি ৭ টি গাছ কেটেছেন বলে জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তিনি প্রতিষ্ঠান এর ২৫ থেকে ৩০ টি গাছ কেটেছেন। গাছগুলো কাটার পরে আবার সেগুলোর গোরা মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাছ কাটার প্রমাণ স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে তিনি প্রতিষ্ঠানের নামে তড়িঘড়ি করে ছোট্ট একটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। এলাকাবাসী জানান এই ঘর কে নির্মান করতে মাত্র ২ থেকে ৩ টি গাছ দরকার। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি বলেন, “বিদ্যালয়ের রুম তৈরির জন্য ৭ টা গাছ কাটছি।” এ ব্যাপারে সভাপতি মাখনলাল শিকদাররের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকারিভাবে ভাবে অনুদান পাইছি এক লক্ষ টাকা। রুম তৈরির জন্য গাছ দরকার ছিল তাই গাছ কাটছি।” ২৫ টি গাছ কেন কাটা হল , যেখানে সরকারি অনুদান এক লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে ? এমন প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব দিতে পারেন নি। জেলা শিক্ষা অফিসার।( DEO) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি । প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৭ টা গাছ কাটা হয়েছে”