নিজস্ব প্রতিবেদক,  বেনাপোল, যশোরঃ নবীন যুবকদের অংশগ্রহণে এবং বহু সময়ের অবসান ঘটিয়ে, বেনাপোলে অনুষ্ঠিতব্য হতে চলেছে সেই কাঙ্খিত পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন। দেশের অন্যান্য পৌরসভার ন্যায়, ১৭ জুলাই সোমবার তারিখে অনুষ্ঠিতব্য হতে চলেছে যশোরের শার্শা উপজেলাধীন বেনাপোল পৌরসভার-২০২৩ আসন্ন সাধারণ নির্বাচন।

এরই মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই এবং প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেনাপোল অঞ্চলে চলছে নির্বাচনী উৎসবের উচ্ছাস আনন্দে ভোট গ্রহণ প্রস্তুতির প্রচার প্রচারণা। তবে এবার এ নির্বাচনে ৩ জন মেয়র প্রার্থী সহ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে পৌরবাসীকে সেবা করার লক্ষ্য আশা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন একঝাঁক নবীন যুবক। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫/৬ জন প্রার্থীসহ সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড আসনেও লড়ছেন একাধিক মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী।

যশোরে সফরের মধ্য দিয়ে, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরের দিনই গত ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে, শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল রুমে। বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়-কার্যালয়ের নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোঃ আহসান হাবিব খান। উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তজিমুল ইসলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম ( বার ) পিপিএম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা খুলনা অঞ্চল মোঃ হুমায়ুন কবির, যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, নাভারন সার্কেল এসপি নিশাত আল নাহিয়ান ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, শার্শা উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া ও শার্শা থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম সহ উপস্থিত ছিলেন, আসন্ন বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনের সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোঃ আহসান হাবিব খান নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তরের বলেন, একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যা যা দরকার, সেই কাজগুলোই আমরা পরিকল্পিতভাবে এবং ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে করবো। তবে নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনোধরনের চ্যালেঞ্জ নেই। যখন যে চ্যালেঞ্জ আসবে, তখন আমরা সেই চ্যালেঞ্জ ফেস (মোকাবিলা) করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবারের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবেন বলেও আশা করছি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক। আমি সব সময় বলছি, মিডিয়া হলো চোখ ও কান। মিডিয়ার অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করবো। তবে ভোটকক্ষের মধ্যে লাইভ করা সমীচীন নয়।

উল্লেখ্য:-১৭ জুলাই বেনাপোল পৌরসভার-২০২৩ উক্ত আসন্ন সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে, ৪ জন মেয়র প্রার্থী ও সংরক্ষিত পদে ১৭ জন এবং সাধারন কাউন্সিলর পদে ৫৩ প্রার্থী তাদের আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সহ প্রার্থীদের প্রত্যাহার এবং আপিল শেষে ৩ জন মেয়র প্রার্থী ও ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সর্বমোট মোট ৬৫ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্দ প্রতীক পেয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার প্রচারণার গণসংযোগ শুরু করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। একই সাথে প্রতিটি ওয়ার্ড মোড়ে চলছে ইভিএমে কি ভাবে ভোট দিতে হয় সেই প্রশিক্ষণ প্রচার-প্রচারণা।

তবে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায়, এ পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রধীন মহল্লায়, হামলা মারামারি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে আতঙ্ক আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

কোন কোন কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ? এমন প্রশ্নে? উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ জানিয়েছেন, আমাদের কাছে সব কেন্দ্র সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সব কেন্দ্রের দিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।