• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন

নড়াইলে কালিয়ায় ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে বকেয়া বেতনের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ


প্রকাশের সময় : জুলাই ২২, ২০২২, ৩:৪৮ অপরাহ্ন / ৪৭৮
নড়াইলে কালিয়ায় ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে বকেয়া বেতনের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়ায় হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের শিক্ষক মনোজ কুমার পোদ্দারের বিরুদ্ধে ইউএনও ও অধ্যক্ষ্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া বিলের মাধ্যমে সাত মাসের বকেয়া বেতনের প্রায় দুই লাখ টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশাসনসহ সকল মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মনোজ কুমার অবশ্য অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন।

কলেজ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাবিবুল আলম বীর প্রতীক কলেজের পদার্থ বিঞ্জান বিভাগের শিক্ষক মনোজ কুমার পোদ্দার গত নভেম্বর ২০২১ থেকে মে ২০২২ পর্যন্ত ৭ মাস যাবত বে-আইনী ভাবে কলেজে অনুপস্থিত থাকার কারনে কতৃপক্ষ তাকে একাধিক কারন দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক ও বিধি মোতাবেক না হওয়ায় ওই ৭ মাস তাকে অবৈতনিক ছুটি মঞ্জুর করে কলেজে যোগদানের অনুমতি দেন কতৃপক্ষ। সে অনুযায়ী তিনি গত জুন মাসে কলেজের নিজ পদে যোগদান করেন।
কলেজ কতৃপক্ষ তাকে বেতন না দেয়ায় তিনি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কালিয়ার ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৩০ জুন ভূয়া বিলের মাধ্যমে সোনলী ব্যাংকের কালিয়া শাখা থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হক বলেছেন, তিনি ওই শিক্ষকের বকেয়া বেতন বিলে স্বাক্ষর করেন নাই। তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংক হিসাব থেকে ওই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি তিনি ইউএনওকে জানিয়েছেন।
ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, তিনি ব্যাংকে জমাকৃত বিলের কপি দেখেছেন। তার স্বাক্ষর স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যাংক ম্যানেজার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোনালী ব্যাংক কালিয়া শাখার ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম বলেছেন, তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি ওই বেতন বিলের জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তুলে নেয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ দিকে মনোজ কুমার পোদ্দার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কারো স্বাক্ষর জালিয়াতি করেননি এবং বকেয়া বেতন বাবদ কোন টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেননি। তিনি প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।