নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকা ও নিউজ টুয়েন্টি ফোর চ্যানেলে ভূয়া সংবাদের বিরুদ্ধে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের এক সাংবাদিক। ভুয়া, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় এ নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের জনপ্রিয় একটি মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টালের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আরিয়ান লেনিন মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট এসব লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

এ বিষয়ে আরিয়ান লেনিনের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, গত ১৩/০৮/২০২১ তারিখে 'আইপি টিভিতে এরা কারা' শিরোনামে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে আমার মক্কেল আরিয়ান লেনিনকে আইপি টিভি সি ভিশনের মালিক উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, শেঠ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোলাইমান আলম শেঠ, গত বছরের ২০ এপ্রিল আরিয়ান লেনিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। বস্তুত, আরিয়ান লেনিন সি ভিশন নিউজে একজন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে চকবাজার থানায় আরিয়ান লেনিনের বিরুদ্ধে কোন সাধারণ ডায়েরির অস্তিত্ব নেই।

এমন ভুয়া, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক, দুই প্রতিবেদকসহ চারজনকে আইনি নোটিশ প্রেরণ করে ক্ষমা চেয়ে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দৈনিক কালের কণ্ঠে পরদিন ১৪ আগস্ট ভিন্ন শিরোনামে হুবুহু প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে একই অভিযোগ আনা হয় যা নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত সাংবাদিকতার করুণ রূপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরে ১৫ আগস্ট "আইপি টিভির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে চাঁদাবাজি ও হয়রানি" শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রচার করে যাতে আরিয়ান লেনিনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ বলে উল্লেখ করা হয় যাতে এই বক্তব্যের পক্ষে কোন ধরনের তথ্য প্রমান উপস্থাপন করা হয়নি। যা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী।

তাই বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের সম্পাদক নইম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং এসব সংবাদমাধ্যমের প্রকাশক ময়নাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেকদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবী নোমান।
নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে তাদের ক্ষমা চেয়ে প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাহার করতেও বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।