বিশেষ প্রতিবেদকঃ মহামারী করোনায় গেলো দেড় বছরে দেশের প্রায় ৭০ ভাগ শ্রমজীবী মানুষের আয় কমেছে। নতুন দরিদ্র হয়েছে দেশের ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডি’র যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ আয় হারিয়েছে এই সময়ে। দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে আর্থিক চাপে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর একটি বস্তির ছোট্ট ঘরে, স্বামী ও ৪ সন্তান নিয়ে বাস করেন রেহেনা বেগম। পরিবহন শ্রমিকের কাজ করেন তার স্বামী। করোনায় গেল দেড় বছরে বেশির ভাগ সময় বন্ধ ছিলো গণপরিবহন। এতে আয় বন্ধ হয়ে নাজুক অবস্থায় পড়ে পরিবারটি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডি’র যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, করোনায় রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ এবং পরিবহনসহ দেশের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রায় ৭০ ভাগ শ্রমজীবী মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাজ হারিয়েছেন দেশের প্রায় ১কোটি ১১লাখ মানুষ। এতে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে।
অন্যান্য শ্রমখাতেও ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে বলে গবেষণায় বলা হয়। ফলে, ৪৭ শতাংশ বস্তিবাসী এবং শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী ৩২ শতাংশ মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষ খাদ্য ও অন্যান্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
শহর কেন্দ্রিক সেবা খাতে আয় হারানো এসকল মানুষের অনেকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানান অর্থনীতিবিদরা। জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় এখন এই জনগোষ্ঠীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার তাগিদ দেন তারা।