• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

দুর্ধর্ষ মোটরসাইকেল চুরির রহস্য উদঘাটন ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬


প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২৩, ৪:২২ অপরাহ্ন / ৬০
দুর্ধর্ষ মোটরসাইকেল চুরির রহস্য উদঘাটন ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

খুলনা অফিসঃ র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। একটি দুর্ধর্ষ চোরচক্র দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থান হতে সু-কৌশলে মোটরসাইকেল চুরি করে দুরবর্তী স্থানে নিয়ে বিক্রয় করে আসছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র‌্যাব-৬ সদর কোম্পানি খুলনার একটি আভিযানিক দল মোটরসাইকেল চুরির রহস্য উদঘাটনে এবং চোরচক্রকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬ সদর কোম্পানি খুলনার একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, প্রযুক্তিগত সহয়তা এবং গভীর তদন্তে মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহোতাকে চিহ্নিত করতে এবং চক্রটির চুরির কার্যপদ্ধতির রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। আভিযানিক দলটি গত ২৭ মে ২০২৩ তারিখ খুলনা জেলার রূপসা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চোরচক্রের মূলহোতা অহিদুল শেখ (২৬), থানা-রামপাল এবং তার সহযোগী ২। কুদরত মোল্লা (২৫), থানা-মোড়েলগঞ্জ, উভয় জেলা-বাগেরহাটদ্বয়কে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের হেফাজত হতে একটি চোরাই পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত ২১ (একুশ)টি বিশেষ ‘মাস্টার কি’ জব্দ করা হয়। হেফাজতে থাকা চোরচক্রের মূলহোতার দেওয়া তথ্যমতে জানা যায় তাদের সহযোগী কুদরত মোল্লা চক্রটির লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে। কোন ভূক্তভোগীর মোটরসাইকেল টার্গেট করে সুযোগমত সে মূলহোতা অহিদুল শেখকে সংকেত দেয়। সংকেত পেয়ে অহিদুল মোটরসাইকেলটির উপর চেপে বসে তার কাছে থাকা ’মাস্টার কি’ দিয়ে অত্যন্ত কৌশলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লক (তালা) খুলে মোটরসাইকেলটি নিয়ে দ্রুত সড়ে পড়ে। র‌্যাবের আভিযানিক দলটি গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে চোরচক্রের অপর সদস্য রাব্বী (২০), থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে পলাতক আসামী সাজ্জাদ শেখ ও নিজাম হোসেনদের সহায়তায় মাত্র ০৫ মিনিটের মধ্যে চুরি করা মোটরসাইকেলের হ্যান্ড-লকসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে এবং পরবর্তীতে বিক্রি করে দেয়। আসামী রাব্বীর দেওয়া তথ্য মতে আসামী সাজ্জাদ শেখের বসতবাড়ী হতে একটি এপাসি ১৫০ সিসি এবং একটি টিভিএস ১১০ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল ও ২১ (একুশ)টি ’মাস্টার লক’ সহ গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খুলনা জেলার রূপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চোর চক্রের পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

(ছবি-শেখ তৈয়ব আলী পর্বত)