• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

জিনের বাদশা আকবর আলী কবিরাজ তার সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৪ ও র‍্যাব-০৮


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩১, ২০২৩, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন / ৯৫
জিনের বাদশা আকবর আলী কবিরাজ তার সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৪ ও র‍্যাব-০৮

বিশেষ প্রতিনিধিঃ র‍্যাব-১৪ ও র‍্যাব-০৮ এর যৌথ অভিযানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মুল হোতাকে গ্রেফতার করেছে

এদিকে জিনের বাদশা আকবর আলী কবিরাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ভুক্তভোগী মৌসুমী আক্তার এর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রায় এক মাস পূর্বে র‍্যাব-১৪,সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের গোচরিভূত হয়। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এটি তদন্তের বিষয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে বিষয়টি র‍্যাব-৮,সিপিএসসি,ভোলা ক্যাম্প কে জানালে তারা ২৯ জানুয়ারি আনুমানিক রাত ০২:৩০ ঘঠিকার সময় র‍্যাব-৮,বরিশাল এর অধীনে ভোলা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এএসপি মোঃ জামাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানাধীন চকঢোষ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক জিনের বাদশা পরিচয় দানকারী আকবর আলী কবিরাজ (জিনের বাদশা) যার প্রকৃত নাম নামঃ মোঃ রাশেদ মাতব্বর(২৭),পিতা- মোঃ আবুল কাশেম মাতব্বর,মাতা- সুফিয়া বেগম,সাং-চকঢোস (ওয়ার্ড নং-০৭) এবং আকবর আলী কবিরাজের সহযোগী মোঃ মিরাজ মাতব্বর(২৮) পিতা জলিল মাতব্বর,মাতা মৃত সৈয়দা বেগম,সাং চকঢোস উভয় থানা বোরহানউদ্দিন,জেলা-ভোলা হতে গ্রেফতার করে।

এমতাবস্থায় আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে আকবর আলী কবিরাজ পরিচয় দিয়ে বহুদিন যাবত জিন-পরী ও তান্ত্রিক দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ ভাগ্য পরিবর্তন করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংক ব্যালেন্স রক্ষিত।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় জিনের বাদশাহ গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে প্রতারণার সরঞ্জাম কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে দীর্ঘদিন যাবত আকবর আলী কবিরাজ পরিচয়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ এবং লোকাল টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজের মোবাইল নম্বর,বিকাশ একাউন্ট,নগদ একাউন্ট দিয়ে থাকে। ভুক্তভোগী লোকজন নিজেদের সমস্যার সমাধানের জন্য যোগাযোগ করলে কৌশলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে টাকা হাতিয়ে নিতো।