• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

জাতীয় চারনেতার স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত : জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩, ২০২১, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন / ৩০৭
জাতীয় চারনেতার স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত : জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সমাবেশ, আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম এর সভাপতিত্বে জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী ও জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, ড. লায়ন মিজানুর রহমান, সাংবাদিক সুজন হালদার, প্রণিল সামসাদ জাদিদ, অভিনেত্রী শিরিন শীলা, সাংবাদিক শিমুল খান, মনিরুজ্জামান অপূর্ব, অরুন সাহা, রাজ সরকার, অভিনেত্রী সোনিয়া পারভীন শাপলা, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, দিলীপ সরকার, বাউল শিল্পী বিদ্যুৎ সরকার সহ চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্য পরিচালক, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তাদের পুরুস্কৃত করেছিলেন। জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি করে বলেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অনেককেই হত্যা করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেঈমানী করেছিল। তিনি একজন বেঈমান, বিশ^াসঘাতক ব্যক্তি। ১৫ অগাস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। ইতিহাসের মানবতাবিরোধী খলনায়করাই এ ধরনের ঘৃণ্য ও জঘন্য হত্যকাণ্ড চালিয়েছে।” ইতিহাসের সেই ‘মানবতাবিরোধী খলনায়করা’ এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে মন্তব্য করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান “৭৫, ২০০৪, আর ২০১৭ এক নয়। আওয়ামী লীগ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন।

বক্তারা আরো বলেছেন,জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানসৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতকারী সেনাসমর্থিত চক্রান্তকারীরাই কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে বিরল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু-পাল্টা ক্যু’র ধূম্রজালের মধ্যে ৩ নভেম্বর সংঘটিত হয় জেল হত্যাকাণ্ড।