• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনও চলছে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল


প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০২২, ১০:৪৬ অপরাহ্ন / ৩১৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনও চলছে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল

এস এম রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নির্দেশনায় অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বন্ধের নির্দেশের আদেশ পাওয়ার পরপরই সারাদেশে সিল জরিমানা ব্যাপক হারে তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলাভিত্তিক সিভিল সার্জনদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে মাঠে নেমেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। বন্ধ করা হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানও। এরপরও লাইসন্সেবিহীন কিছু প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম সরকারের আদেশ তোয়াক্কা না করে চালাচ্ছে রমরমা।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর অভিযান চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে,সেই তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই। কারণ যারা অবৈধভাবে ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিয়েছে,তাদের সংখ্যাটা বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ জানায়,গত বৃহস্পতিবার লাইসেন্স না থাকায় গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার ৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স নবায়ন করতে আরও ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইসলামিয়া নার্সিং হোম,রহনপুর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিউ পপুলার মেডিসিন কনসালটেশন হোম। সবগুলো প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের এলাকায় অবস্থিত। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার আরও ১২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডয়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার আওতায় লাইসেন্স না থাকার কারণে একটি ক্লিনিক ও তিনটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও জমজম ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার,আল মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক, মহানন্দা ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক,নিউ মেডিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার,হেফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও ডিপ্লোমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মোট ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন করতে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বিশেষ করে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,অভিযান শুরুর দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আরামবাগে হাই রোডের পাশে অবস্থিত চাঁপাই এ্যাপোলো হাসপাতাল বন্ধ ছিল। সিভিল সার্জনের অভিযান চলাকালীন,তবে বৃহস্পতিবার থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা করছে আগের মতোই।
এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবসা করছে। জেলা শহরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অভিযানের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আরামবাগের চাঁপাই এ্যাপোলো হাসপাতালের ম্যানেজার আওয়ালের কাছে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,লাইসেন্স নাই আমরা আবেদন করেছি তাই ঢাকা থেকে আমাদেরকে অনুমতি দিয়েছে হাসপাতাল চালানোর। লিখিত কোনো আনুমতি দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন না মৌখিক আনুমতি দিয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালে দিরেক্টর মো,আলী হোসেন বলেন আমরা আবেদন করেছিলাম লাইসেন্সের জন্য এবং আমরা পেয়েছি।

এদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে আরেক সিয়ারদার নিউমার্কেট শিল্পকলা একাডেমী মার্কেটে গার্মেন্টস এর দোকান, মুন্না জোর গলায় বলেন আমরা আমাদের মতো হাসপাতাল চালাচ্ছি উপল লেবেল মেনটেন্স করে,তাই আমাদের কাগজ পাতি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না,এছাড়া সাংবাদিকদেরকে রাগান্বিত হয়ে বলেন ক্লিনিকে আর যেন কোন ভাবে আসবেন না, এরপরে আসলে আপনাদের ক্ষতি হয়ে যাবে,পরে বলিয়েন না।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রশীদ অ্যাপোলো হাসপাতালে বিষয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,অ্যাপোলো হাসপাতালে বিষয়ে খবর পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এছাড়া তিনি বলেন চলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধ ক্লিনিকগুলো বন্ধ না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে এর আগে,চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোট ১২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকায় বন্ধ করে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।