• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি :আইনের ঘরে বেআইনি চর্চা


প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০২১, ১১:৪১ অপরাহ্ন / ৩০৪
গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি :আইনের ঘরে বেআইনি চর্চা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী জয়। মুল নাম সরফরাজ মন্ডল জয় ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র। পিতার নাম শাজাহান মন্ডল এবং মাতা রেবা মন্ডল। পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই প্রফেসর দম্পতির একমাত্র সন্তান জয়। পিতা মাতা আইন বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষকই কেবল নন আইনের গবেষণার জগতে তাদের পরিচয় দেশ জোড়া। সুতরাং তাদের সন্তান আইন শাস্ত্রীয় জ্ঞান অর্জন করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো অধিকতর প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় তথা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ থাকার পরও কেন গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে একমাত্র ছেলে কে পড়তে পাঠালেন এই দম্পতি? একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগ যে সকল কারনে ছাত্র ছাত্রীদের পছন্দের তালিকায় আসে সেসব বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বেশ এগিয়ে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে এই সকল সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ, শিক্ষকতাসহ অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে এই পরিবারের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। তারপরও তাদের পছন্দের শীর্ষে বশেমুরবিপ্রবি! এমনকি ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরফরাজ জয় ভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহণ তো দুরের কথা আবেদন ই করেনি।
তৎকালীন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির তথ্য মতে এবং পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করলেও নূন্যতম পাশ নম্বর না পেয়েই এই শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তার অর্জিত নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্ত পুরন করতে না পারায় তৎকালীন উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন তাকে বশেমুরবিপ্রবি তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করেন। এক্ষেত্রে রেবা মন্ডল এবং খোন্দকার নাসির উদ্দিন ভাই বোন সম্পর্ক দেখিয়ে ভিসি কোটা নামক মনগড়া আইন প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম কানুন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিন্ন অনুষদ হওয়া স্বত্ত্বেও মাইগ্রেশন করে আইন বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে। অথচ মাইগ্রেশন কেবলমাত্র একই অনুষদের মধ্যে করার বিধান রয়েছে। আর কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করার যতগুলো নিয়ম বিদ্যমান তার কোনটিতে ই ফেল করা শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না বলে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করা আছে।
একটি অধ্যাপক দম্পতি তাদের ছাত্র ছাত্রী যারা শিক্ষকতা করেন তাদের ব্যবহার করে সন্তান কে অবৈধ পন্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার সুযোগ নেন। কোথায় আছি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা, কোথায় জাতির বিবেক? এ প্রশ্ন আজ ডুকরে ডুকরে কাঁদে।