• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে বশেমুরবিপ্রবির কোষাধক্ষ্যকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে শিক্ষকদের মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : মে ২৯, ২০২৩, ২:৩৬ অপরাহ্ন / ১১৩
গোপালগঞ্জে বশেমুরবিপ্রবির কোষাধক্ষ্যকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে শিক্ষকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে উস্কানীমুলক অশ্রাব্য, অকথ্য ও অপরিশীলিত ভাষা ব্যবহার এবং গোপালগঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ কর্মসূচী পালন করে।

সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনের সড়কের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে ঘন্টাব্যপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে শিক্ষকরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষের পদ্যতাগের দাবী জানিয়ে শ্লো-গান দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা। মানববন্ধন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধাক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো: মোবারক হোসেনের উপস্থিতি থাকা সকল কায্যক্রম বয়কট করার পাশাপশি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, আইন বিভাগের ডীন রাজিউর রহমানসহ শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

আইন বিভাগের ডীন রাজিউর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন কারনে পিছিয়ে পরছিলাম, গতিহীন হয়ে পরেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম কোষাধাক্ষ ড. মো: মোবারক হোসেনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার হাত ধরে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিকভাবে এগিয়ে যাবো। কিন্তু না ঠিক হলো তার উল্টো। আমাদের থাকার কথা ছিলো ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে। কিন্তু এসব কাজ বাদ দিয়ে এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে ধিক্কার জানাতে হচ্ছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, সভায় আপনি শিক্ষকদের চোর বাটপার বলেছে, বাকি কথা ভাষায় আনা যায় না। আমরা চুপ করে ছিলাম যে তিনি বয়স্ক মানুষ। কিন্তু তিনি সে সম্মানটুকুও রাখেননি। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চতি ঘোষনা করলাম। তার বিরুদ্ধে প্রাশাসকিব ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহম্মেদ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি দু:খ প্রকাশ করে আমাদের ফোন করবেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তার যে অশ্রাব্য বাক্য এগুলো আমরা আর মেনে নিবো না। আজ থেকেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো। সেই সাথে কোষাধাক্ষ ড. মো: মোবারক হোসেনের সাথে শিক্ষকরা কোন মিটিং এ বসবে না, তিনি কোন মিটিং-এ প্রতিনিধিত্ব করলে শিক্ষকরা সেই মিটিং এ যাবে না।

এ ব্যাপারে কোষাধাক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো: মোবারক হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে না কাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: দলিলুর রহমান বলেন, আমি জেনেছি যে শিক্ষকরা একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। তবে সেখানে কি কি বিষয়ে দাবী তুলে ধরা হয়ে সেটি আমি জানি না। সে বিষয়গুলো আমামাদের প্রশাসনের কাছে আসলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপগ্রেডেশন ও ডিউডেট প্রাপ্যতার বিষয়ে জটিলতা নিরসনে গঠিত কমিটির সভা চলাকালে শিক্ষকদের উস্কানীমুলক অশ্রাব্য, অকথ্য ও অপরিশীলিত ভাষা ব্যবহার অপমানিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধাক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো: মোবারক হোসেন।